অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: সবেমাত্র ঘুম ভেঙেছে। ঘুমঘোরে শৌচালয়ে পা। সঙ্গে সঙ্গে অঘটন। গায়ে ঝাঁপ চিতাবাঘের। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রক্তারক্তি কাণ্ড। চিতাবাঘের হামলায় গুরুতর জখম শিলিগুড়ির যুবক। তাঁকে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর বাড়ি থেকে বেরতেও ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা। এলাকা জুড়ে চিতাবাঘের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
জখম যুবক অভিষেক প্রসাদ। বছর আঠাশের ওই যুবক উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে শিলিগুড়ির শিবমন্দির এলাকার বাসিন্দা। ওই বাড়িতেই মঙ্গলবার প্রায় কাকভোরে সকলের নজর এড়িয়ে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘ। বাথরুমে গিয়ে লুকিয়ে বসেছিল সে। বাথরুমে পা রাখামাত্রই যুবকের উপর হামলা চালায়। আতঙ্কে বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। হামলার পরই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় চিতাবাঘ।
জখম যুবকের বাড়িমালিক বিশ্বনাথ দে বলেন, “সকালে হঠাৎ চিৎকার শুনে উপর থেকে উঁকি মারতেই দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ছেলেটি। নিচে এসে দেখি ওর মুখে, বুকে, হাতে আঁচড়ের দাগ। তখন বলল চিতাবাঘ হামলা চালিয়েছে। ওকে নার্সিংহোম নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা ভীষণভাবে আতঙ্কিত। বাড়ি থেকে বেরতেও ভয় লাগছে।”
ওই যুবক বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ক্ষত বেশ গুরুতর বলেই খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বাগডোগরা বনদপ্তরের কর্মীরা। ওই এলাকায় চলছে জোর তল্লাশি। তবে চিতাবাঘের এখনও দেখা মেলেনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত স্থানীয়রা। বাড়ি থেকে বেরতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। শিবমন্দির এলাকা প্রায় শুনশান। দোকানপাটও প্রায় বন্ধ। এই এলাকায় চিতাবাঘ কোথা থেকে এল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সকাল থেকে তাই নিয়ে চলছে জোর চর্চা। বলে রাখা ভালো, এর আগেও বহুবার শিলিগুড়ি শহরে চিতাবাঘরে দেখা পাওয়া গিয়েছিল। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে শিবমন্দির এলাকাতেও চিতাবাঘ দেখা গিয়েছিল। ফের নতুন করে চিতাবাঘ আনাগোনায়, স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত এলাকাবাসী।