• ২০০২-এর তালিকায় নাম নেই সস্ত্রীক সব্যসাচীর! ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা
    প্রতিদিন | ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: বিধাননগর পুরসভা তৈরি হয়েছে ১৯৯৫-এ। সেই থেকে টানা কাউন্সিলর, ২০১৫-এ বিধাননগরের মেয়র, ২০১৬-এ নিউটাউনের বিধায়ক। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু যার ভোটার ছিলেন, বিধানগর কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেই সব্যসাচী দত্তর নাম উধাও নির্বাচন কমিশনের ২০০২-এর ভোটার তালিকা থেকে। নেই তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রাণীর নামও। যা নিয়ে একই সঙ্গে হতবাক এবং ক্ষুব্ধ সব্যসাচী। স্বাভাবিকভাবেই এই এসআইআর পর্বে এনুমারেশন ফর্ম তিনি ফিলআপ কীভাবে করবেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক এবং নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গেও একাধিকবার কথা বলেছেন সব্যসাচী। কিন্তু কোনও সুরাহা বেরোয়নি। সব্যসাচীর বাড়ির ঠিকানা সল্টলেকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডিএল ২৩৯ নম্বর। থানা বিধাননগর পূর্ব।

    জানা যাচ্ছে, সেক্টর ২-এর ওই পাড়ায় ডিএল ২৩২ থেকে ২৪০ পর্যন্ত ৮টি বাড়িরই হদিশ উধাও ২০০২-এর ভোটার তালিকা থেকে। এই এলাকা একসময় রাজ্যের সব থেকে বড় বিধানসভা বেলগাছিয়া পূর্বের অন্তর্গত ছিল। ডিলিমিটেশিন হওয়ার পর এখন যা বিধাননগর বিধানসভা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই পাড়ার যে কটি বাড়ির হদিশ মিলছে না, সেগুলি অন্য কোনও বিধানসভার সাপ্লিমেন্টারি পার্টে ভুল করে জুড়ে গিয়ে থাকতে পারে।

    সব্যসাচী নিজের ২০০০ সালের কাউন্সিলর পদে জেতার সার্টিফিকেট সামনে রেখে জানাচ্ছেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু তাঁর পরিবার, প্রাক্তন সাংসদ সরলা মাহেশ্বরী, রমেন পোদ্দার, আভা মাইতি, অ্যাডভোকেট জেনারেল নরনারায়ণ গুপ্ত এঁরা আমার ভোটার ছিলেন। আমার নাম ২০০২-এর তালিকায় যদি না থেকে থাকে, তা হলে তারও আগে এই বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আমার ভোটার হলেন কী করে?” বিরক্ত হয়ে নিজের ফর্ম ফাঁকা রেখেই জমা দেবেন বলে ভেবেছেন তিনি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)