দিল্লির নিরাপত্তায় ‘গাফিলতি’, তদন্তে আদালতের নজরদারিতে SIT গঠনের দাবি অভিষেকের
প্রতিদিন | ১১ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকালে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার। তার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সন্ধ্যায় বিস্ফোরণ। দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর স্বাভাবিকভাবেই বড়সড় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আদালতের নজরদারিতে সিট গঠন করে তদন্তের দাবিতে সরব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার X হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, “আমি দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। বিস্ফোরণ বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। অনেকেই জখম। স্বজনহারা পরিবারের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। দিল্লির প্রাণকেন্দ্রের এই ঘটনায় আমি সত্যিই বিস্মিত। দিল্লি পুলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন, তাদের উচিত ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষার। কীভাবে নিরাপত্তায় এত বড় গাফিলতি হল?” তিনি আরও লেখেন, “সোমবার সকালে ফরিদাবাদে সাড়ে তিনশো কেজির কাছাকাছি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং নজরদারি নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দেওয়ার মতো। সত্য উদঘাটনে এবং দোষীদের চিহ্নিত করতে প্রয়োজনে আদালতের নজরদারিতে সিট গঠন করা হোক।”
উল্লেখ্য, দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনার নেপথ্যে কোনও জঙ্গি সংগঠন রয়েছে কিনা, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে তদন্তের গতিপথ যেন তেমনই ইঙ্গিত করছে। তদন্তে নেমে শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সোমবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের আগে বিকেল ৪টের দিকে ঘাতক গাড়িটি প্রবেশ করে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে। সেখানে প্রায় ৩ ঘণ্টা ছিল গাড়িটি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন পার্কিং লট থেকের বেরনোর সময় গাড়িতে একজনই ছিল। সেই মেট্রো স্টেশনের সামনে পর্যন্ত গাড়িটি চালিয়ে এনে বিস্ফোরণ ঘটায়। এনএসজি এবং এফএসএল টিমের তদন্ত রিপোর্টে স্পষ্ট হবে এটি ঠিক কী ধরনের বিস্ফোরণ ছিল। তবে বিস্ফোরণস্থল ও যেভাবে দেহগুলি পুড়ে গিয়েছে তাতে অনুমান আইইডি বা ওই ধরনের কোনও বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। হামলার ধরন দেখে তদন্তকারীরা অনুমান করছেন এর নেপথ্যে জইশ-ই-মহম্মদের হাত রয়েছে।