সিইও-র নামে ভুয়ো মেসেজে ৯৮ লক্ষ লোপাট, ধৃত প্রতারক
আনন্দবাজার | ১১ নভেম্বর ২০২৫
সংস্থার সিইও-র নাম করে হিসাবরক্ষকের কাছে ভুয়ো মেসেজ পাঠিয়ে প্রায় ৯৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় একঅভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ সলমন খান। তাকে সোমবার ভোরে কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে থেকে গ্রেফতার করে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ। ধৃতকে এ দিনই ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশদিয়েছেন। এই প্রতারণার ঘটনায় মাসখানেক আগে ছত্তীসগঢ়ের রাজনন্দগাঁও থেকে নীতিন রজন নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাকে জেরা করেই সলমনের নাম উঠে আসে বলে সূত্রের খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, মাস দুয়েক আগে শেক্সপিয়র সরণি থানাএলাকার একটি সংস্থার হিসাবরক্ষক ওয়টস্যাপে একটি মেসেজ পান। নম্বরটি নতুন হলেও তাতে ওই সংস্থার সিইও-র ছবি দেওয়া ছিল। সেই মেসেজে ওই সিইও হিসাবরক্ষককে জরুরি ভিত্তিতে ৯৮ লক্ষ টাকা একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে পাঠাতে নির্দেশ দেন। হিসাবরক্ষকেরসন্দেহ হলে তিনি ওই নতুন নম্বরে ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেনি। উল্টে ছদ্মবেশী ওই সিইও ফের মেসেজ করে জানান, তিনি বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছেন। তাইজরুরি ভিত্তিতে ওই টাকা পাঠিয়ে দিতে বলেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, মেসেজটি সত্যি মনে করে ওই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন হিসাবরক্ষক। পরে তিনি জানতে পারেন, ওই সিইও আদতে জালিয়াত। এর পরেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, গোটা দেশে ছড়ানো রয়েছে এই প্রতারণার জাল। যার অন্যতম মাথা সলমন। অন্য দিকে, প্রতারণা করা টাকার প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল নীতিনের অ্যাকাউন্টে। সেই সূত্র ধরেই নীতিনকে গ্রেফতার করার পরে সে জানায়,সলমনের নির্দেশে সে ওই কাজ করেছে। এক পুলিশকর্তা জানান, এই চক্রে বেশ কয়েক জন নেতা রয়েছে। যার অন্যতম সলমন। তার বাড়ি গরফায়। তবে সে এত দিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এ দিন ভোরে সলমন মুম্বই থেকে কলকাতায় ফিরছিল। ধৃতকে জেরা করে এ বারবাকি প্রতারকদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।