‘বন্দে মাতরম্’-এর সার্ধশতবর্ষ উদযাপনে যে বিতর্ক সামনে এসেছে, তা বিজেপির তরফে বিভাজন তৈরির চেষ্টা বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘কখনও ‘বন্দে মাতরম্’ এবং ‘জনগনমন অধিনায়ক’-এর র নামে ঝগড়া লাগাচ্ছেন। ভাল করে গাইতেও পারেন না। আমরা দুটি গানকেই সম্মান করি।’’ পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
এ দিন শিলিগুড়িতে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে রাজনীতি করতে হবে! লজ্জা করে না? যিনি আমাদের প্রাণের কবি, প্রাণের ছবি।’’ এই প্রসঙ্গেই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে বাঙালির অবদানের উল্লেখ করে বিজেপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘ভুলে গিয়েছে, পঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রবীন্দ্রনাথ ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। কেউ রাজনৈতিক ভাবে, কেউ লিখে, কেউ গান গেয়ে, কেউ সংস্কৃতি চর্চা করে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। সব ভুলে গিয়েছে ( বিজেপি)।’’
অন্য দিকে, ‘বন্দে মাতরম্’-এর সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে কলকাতা হাইকোর্টের বিজেপিপন্থী আইনজীবীদের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দে মাতরম্’ স্বাধীনতা আন্দোলনকে জাগ্রত করেছিল। রবীন্দ্রনাথ আন্তরিক ভাবে এই গান গেয়েছিলেন। যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ, তিনি উত্তরপ্রদেশের সব স্কুলে ‘বন্দে মাতরম্’ গাওয়া বাধ্যতামূলক করেছেন।’’ সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘‘উল্টে যে সব স্কুলে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে ‘জনগণমন’ ছিল, সেখানেও রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কোনও দিন শুনব, ‘এপাং ওপাং ঝপাং আমরা সবাই ড্যাং ড্যাং’ গাইতে হবে।’’