আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা সরঞ্জাম ও ওষুধ সরবরাহের বরাত দিতেন বলে আদালতে দাবি করলেন হাসপাতালের ‘পারচেজ় কমিটি-র’ অন্যতম প্রাক্তন সদস্য এবং প্রাক্তন হিসাবরক্ষক সমর দত্ত। সোমবার আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে ওই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সিবিআইয়ের তরফে সমরকে সাক্ষী হিসেবে পেশ করা হয়।
সমর আদালতে জানান, ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি হাসপাতালের হিসাবরক্ষক এবং পারচেজ় কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। সমর বলেন, "২০২১ সালের মার্চ মাসে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংহের সংস্থার লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তার পরও বিল জমা দেওয়া হয়েছিল। এপ্রিল মাসে প্রায় ১৫টি বিল জমা হয়। তিনি ওই বিলের অর্থ বরাদ্দ করেননি এবং সন্দীপ ঘোষকে সে নিয়ে একটি নোটও পাঠিয়েছিলেন।
সমরের বয়ান, সন্দীপ ঘোষ তাঁকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে ভর্ৎসনা করেন এবং নিজের ক্ষমতা বলে ওই বিল অনুযায়ী আর্থিক বরাদ্দ করেন। সমর বলেন, "সন্দীপ ঘোষ নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ বোর্ডে টেন্ডারের নথি দিতেন না। সব কিছু নিজের মতো করতেন।" সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থসারথি দত্ত বলেন, “সমরের দাবি অনুযায়ী যে নোট সন্দীপকে পাঠানো হয়েছিল, তা হস্তরেখাবিদকে দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়েছে। সমরের হাতের লেখা সঙ্গে তা মিলে গিয়েছে।” সন্দীপের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত সমরকে একাধিক প্রশ্ন করেন। এ দিনের শুনানিতে সন্দীপ ঘোষ সহ পাঁচ অভিযুক্ত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশগ্রহণ করে।