• GPS লোকেশন চাঁদনি চক, বিস্ফোরণের পর নিখোঁজ রিকশা চালক দাদাকে খুঁজছে অসহায় বোন
    প্রতিদিন | ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লালকেল্লার সামনে হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সমস্ত দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। আর এর মধ্যেই রিকশা চালক মহম্মদ জুম্মানের সন্ধানে ওই চত্বর চষে ফেলছেন দু’জন। মহম্মদ চান্দ ও নাজমা খাতুনের মনের ভিতরে কু ডাকছে। মৃতদের তালিকায় বর্ণিত ‘অশনাক্ত দেহাংশ’ তাঁদেরই দাদার নয়তো? কেননা রিকশার মালিক শেষবার তাঁর যানের জিপিএস লোকেশন দেখেছিলেন এই চত্বরেই!

    মহম্মদ চান্দ জানাচ্ছেন, গতরাতে বিস্ফোরণের খবর মিলতেই তিনি ফোন করেন দাদাকে। কিন্তু ৩৯ বছরের মহম্মদ জুম্মানের ফোন ছিল ‘পরিষেবা সীমার বাইরে’। অথচ ওই অঞ্চলেই তিনি ই-রিকশা চালান। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানাচ্ছেন, ”আমি রিকশার মালিককে ফোন করি। তিনি জানান, রিকশাটির শেষবার জিপিএস লোকেশন ধরা পড়েছে ওই এলাকাতেই।” আর এরপর থেকেই গাঢ় হয়েছে আশঙ্কা। তাহলে কি বিস্ফোরণেই ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে তাঁর দাদার শরীর?

    প্রায় একদিন হতে চলল বিস্ফোরণের। এখনও খবর মেলেনি। বাড়ছে উৎকণ্ঠা। আর এর মধ্যেই পুলিশ ও সংবাদমাধ্যম কর্মীদের আচরণে বাড়ছে অস্বস্তি। ক্ষুব্ধ মহম্মদ চান্দের বক্তব্য, ”আমি শুধু চাইছি কেউ যেন আমার দিকটাও একটু বিবেচনা করে দেখেন। এটা কি খুব বেশি চাওয়া?”

    উল্লেখ্য, সোমবার লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এটি সন্ত্রাসবিরোধী আইন। দিল্লির কোতোয়ালি থানা UAPA-এর ১৬, ১৮ ধারা, বিস্ফোরক আইন এবং বিএনএসের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে ভুটান থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তিনি বলেন, “আজ আমি এখানে অত্যন্ত ভারী মন নিয়ে এসেছি। কাল সন্ধেয় দিল্লিতে হওয়া ভয়াবহ ঘটনায় সকলের মনই যন্ত্রণাক্লিষ্ট। আমি আক্রান্তদের পরিবারের দুঃখকে বুঝি। আজ গোটা দেশ ওদের পাশে রয়েছে। আমি কাল রাত পর্যন্ত তদন্তের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত এজেন্সির সঙ্গে, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। আলোচনাও করেছি। যোগসূত্রগুলিকে যুক্ত করা হচ্ছিল। আমাদের এজেন্সিগুলি এই ঘটনার শিকড় পর্যন্ত পৌঁছবে। ষড়যন্ত্রকারীরা রেহাই পাবে না।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)