সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম রয়েছে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। এরপরেও মিলল না এনুমারেশন ফর্ম। ফর্ম নেওয়ার সময় জানতে পারলেন ভোটার কার্ডটি ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে নদিয়ার রানাঘাটে। এসআইআর আবহে এক আজব ঘটনার সাক্ষী বসিরহাটের বাসিন্দা স্বপ্না সরকার। কিন্তু ভোটার কার্ড অন্য জায়গায় কীভাবে বদলে গেল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিএলও কোনও জবাব দিতে পারেননি বলে দাবি পরিবারের। বিষয়টি জানার পর থেকেই আতঙ্কে দিন কাটছে স্বপ্নাদেবীর। কোথায় কার কাছে গেলে মিলবে সুরাহা? কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি।
বসিরহাট পুরসভার ন্যাওড়া এলাকার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বছর ৫৫ এর স্বপ্না সরকার। দুই ভাইকে বড় করতে বিয়ে করেননি। দুই ভাইয়ের সঙ্গেই ন্যাওড়া এলাকাতেই থাকেন স্বপ্নাদেবী। সম্প্রতি দুই ভাইয়ের এনুমারেশন ফর্ম দিয়ে যান বিএলও। কিন্তু তাঁদের কাছে ছিল না স্বপ্নাদেবীর কোনও ফর্ম। যা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা একেবারে হকচকিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ভোটার আই কার্ডটি বিএলও আধিকারিকদের দেখান ওই মহিলা। আর তা খতিয়ে দেখতেই মাথায় হাত!
স্বপ্নাদেবীকে আধিকারিকরা জানান, ”তাঁর ভোটার আইডি কার্ড নদিয়া জেলার রানাঘাট এলাকায় ট্রান্সফার করা হয়েছে।” আর তা শোনার পরেই মাথায় বাজ ভেঙে পড়ার জোগাড়। এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান স্বপ্না সরকার। চিন্তার ভাঁজ ভাইদের কপালেও। এখন কোথায় যাবেন কীভাবে মিলবে সুরাহা কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না পরিবার। একপ্রকার আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে স্বপ্না সরকার-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের।
বলে রাখা প্রয়োজন, ইতিমধ্যে বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দিচ্ছেন বিএলওরা। এই আবহে রাজ্যে একাধিক মৃত্যুর অভিযোগ। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। এর মধ্যেই ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী বসিরহাট পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বছর ৫৫ এর স্বপ্না সরকার।