গোবিন্দ রায়: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, সিসিটিভি-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে আরও বকেয়া দেওয়ার জন্য অনুমোদন দরকার। আগামী ১৮ নভেম্বর ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
গত কয়েকবছরে একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যার জেরে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার মাঝে আবার চলতি বছরের মার্চে ওয়েবকুপার বৈঠককে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আক্রান্ত হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও উপাচার্য। অভিযোগ, ছাত্রদের বিক্ষোভে জখম হন মন্ত্রী ও উপাচার্য। দুই ছাত্রনেতাও জখম হন। ঘটনার জল গড়ায় আদালতে। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিকবার অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তবে তা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ করা হয়নি। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা এগোতে থাকে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বৈঠকে বসতে বলা হয়। ওই বৈঠকের পরই নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা দেওয়া হয়। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মামলার সব পক্ষকে ওই রিপোর্টের কপি খতিয়ে দেখতে হবে। কোন আপত্তি আছে কিনা তা আগামী সপ্তাহের শুনানিতে জানাতে হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে নির্দেশ, রাজ্যের অনুমোদিত অর্থ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সে বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আগামী ১৮ নভেম্বরের পরবর্তী শুনানিতে কী রিপোর্ট জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সেটাই এখন দেখার।