প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু তা মেনে নিতে পারেনি দেশরাজ সিং। আর সেই জন্যই চলতি বছরে ২৫ অগস্ট প্রাক্তন বান্ধবী নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ঈশিতা মল্লিকের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে খুন করে সে, অভিযোগ উঠেছিল এমনটাই। ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল রাজ্যজুড়ে। দেশরাজের পাশাপাশি ছেলেকে অপরাধের পরে গা ঢাকা দিতে সাহায্যের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তার বাবা তথা বিএসএফ কর্মী রাঘবেন্দ্র প্রতাপ সিংকেও। সেই ঘটনার ৭৮ দিনের মাথায় জেলা আদালতে ৩০০ পাতার চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকওয়ানা মিত কুমার।
গত ২৫ অগস্ট কৃষ্ণনগর মানিকপাড়ায় ঈশিতার বাড়ির ভিতরে ঢুকে তাঁকে গুলি করে খুন করেছিল বন্ধু দেশরাজ সিং, পুলিশের তদন্তে উঠে আসে এই তথ্য। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল দেশরাজ। তার হদিশ পেতে প্রথমে মামা কুলদীপ সিংকে গ্রেপ্তার করে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তার থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরেই দেশরাজ সিং-কে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরে তার বাবা রাঘবেন্দ্র প্রতাপ সিং-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে পুলিশ এবং ৩০০ পাতার চার্জশিট মঙ্গলবার জমা দেয় কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে।
চার্জশিটে দেশরাজের পাশাপাশি রাঘবেন্দ্র এবং কুলদীপকেও বিএনএস-এর একাধিক ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হয়েছে। উঠে আসা তথ্য, প্রমাণের ভিত্তিতেই জমা দেওয়া হয়েছে চার্জশিট।