• চারবার হাতবদল, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘাতক গাড়ি ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য
    প্রতিদিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাদা রঙের হুন্ডাই আই২০। সোমবারের সন্ধে থেকে গোটা দেশের চর্চায় যে গাড়িটি। লালকেল্লার কাছে দিল্লির সুনহেরি মসজিদের সামনে ঘাতক গাড়িটিতে হওয়া বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মৃত ১৩। দিল্লি পুলিশ তদন্তে নামার পর থেকেই তাদের ‘পাখির চোখ’ হয়ে উঠেছে এই গাড়িটিই। দেখা যাচ্ছে, বিস্তর গোলমাল রয়েছে গাড়িটির। এখনও পর্যন্ত চারবার হাতবদল হয়েছে। অথচ কোনও ক্ষেত্রেই ঠিকভাবে মালিকানা হস্তান্তরিত হয়নি। অর্থাৎ কাগজপত্রে কোনও বদল করা হয়নি।

    বিস্ফোরণ হওয়া গাড়িটির নম্বর HR26 CE 7674। বিস্ফোরণের আগে ঘাতক গাড়িটি প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ গাড়িটি প্রথমবার বিক্রি হয়। কেনেন জনৈক সলমন। পরে তিনি গাড়িটি দিয়ে দেন দেবেন্দ্রকে। তবে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ছাড়াই। পরে সেখান থেকে মালিকানা বদল হয় সোনুর কাছে। এরপর গাড়িটি যায় তারিকের কাছে। কিন্তু গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে কোনও বদল হয়নি। তবে এই প্রক্রিয়ায় ফরিদাবাদের এক গাড়ি বিক্রেতার নামও জড়িয়ে গিয়েছে। ফরিদাবাদ থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাদিম খান নামের ওই ব্যক্তিকে। তাঁকে জেরা করেই তারিকের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে তারিককে আটক করা হয়েছে। চলছে জেরা। আরও একটা আলাদা তথ্য মিলছে। সেই তথ্য বলছে প্রথমে সলমন, তারপর নাদিম, সেখান থেকে তারিকের কাছে যায় গাড়িটি। এরপর গাড়ির মালিকানা যায় ড. উমর মহম্মদের নামে। সমস্ত তথ্যই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, ষড়যন্ত্রকারীদের কেউই রেহাই পাবে না বলে ভুটান সফরে গিয়ে গর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আজ আমি এখানে অত্যন্ত ভারী মন নিয়ে এসেছি। কাল সন্ধেয় দিল্লিতে হওয়া ভয়াবহ ঘটনায় সকলের মনই যন্ত্রণাক্লিষ্ট। আমি আক্রান্তদের পরিবারের দুঃখকে বুঝি। আজ গোটা দেশ ওদের পাশে রয়েছে। আমি কাল রাত পর্যন্ত তদন্তের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত এজেন্সির সঙ্গে, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। আলোচনাও করেছি। যোগসূত্রগুলিকে যুক্ত করা হচ্ছিল। আমাদের এজেন্সিগুলি এই ঘটনার শিকড় পর্যন্ত পৌঁছবে। ষড়যন্ত্রকারীরা রেহাই পাবে না।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)