• ‘সব রাজ্যের পরিস্থিতি এক নয়, বুঝতে হবে’, SIR নিয়ে কমিশনকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
    প্রতিদিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব রাজ্যের পরিস্থিতি এক নয়। বুঝতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। বাংলা, তামিলনাড়ুতে SIR-নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট।  এ নিয়ে কমিশনকে নোটিসও পাঠানো হয়েছে। দু’সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে একই সঙ্গে মামলাকারীদের উদ্দেশে শীর্ষ আদালতের বার্তা, ‘‘এসআইআর নিয়ে আপনারা কেন এত ভয় পাচ্ছেন?’’

    বিহারে SIR প্রক্রিয়া নিয়ে আগেই মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। পরে যোগ হয়েছে বাংলা এবং তামিলনাড়ুর একাধিক রাজনৈতিক দলের করা মামলা। মঙ্গলবার সবকটি মামলা একসঙ্গে শুনেছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারীদের মূল বক্তব্য, “বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে অহেতুক তাড়াহুড়ো করছে নির্বাচন কমিশন। এসআইআর প্রক্রিয়ার সময় আরও কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর আইনজীবী কপিল সিব্বল দাবি করেন, “আগে এসআইআর করতে তিন বছর সময় লাগত। এখন সেটা নাকি একমাসে শেষ করতে চাইছে। এতে লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।”

    সিব্বলের বক্তব্য, আলাদা আলাদা রাজ্যের পরিস্থিতি ভিন্ন। সেটাও বুঝতে হবে কমিশনকে। তামিলনাড়ুর উদাহরণ তুলে তিনি বলেন, সে রাজ্যে নভেম্বর-ডিসেম্বরে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বহু জায়গায় যোগাযোগ পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। যারা এখন বিএলও এবং বিএলএ হিসাবে কাজ করছে, তাদের অন্য কাজও করতে হয়। বাংলার উদাহরণ তুলে তাঁর বক্তব্য, বাংলার বহু জায়গায় ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না এখনও। বহু জায়গায় ফোর জি, ফাইভ জি পরিষেবা নেই। নথি আপলোড করায় সমস্যা হবে। সিব্বলের সাফ কথা, SIR যেন প্রতিযোগিতামূলক একটা প্রক্রিয়া না হয়ে যায়।

    জবাবে বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, “বিভিন্ন রাজ্যের পরিস্থিতি ভিন্ন। সেটা কমিশনকে বুঝতে হবে। আশা করি কমিশন এ নিয়ে জবাব দেবে।” একই সঙ্গে মামলাকারীদের আদালতের প্রশ্ন, “এসআইআর নিয়ে এত ভয় পাচ্ছেন কেন? ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ কমিশনকে করতেই হবে।” শুনানির শেষে মামলাকারীদের উদ্দেশে বিচারপতি কান্ত বলেন, “আমরা নোটিস পাঠাচ্ছি। আপনারা হলফনামা দাখিল করুন। যদি সেই হলফনামায় সন্তুষ্ট হই তাহলে প্রক্রিয়া বাতিল করব। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এই সংক্রান্ত কোনও মামলার শুনানি হাই কোর্টে করা যাবে না। কারও কিছু বলার থাকলে বলতে হবে সুপ্রিম কোর্টে।  
  • Link to this news (প্রতিদিন)