• বাবা-মা-স্ত্রীকে উৎসর্গ করে ট্যাটু, ‘ভালোবাসার উল্কি’ দেখেই দিল্লিতে নিহত যুবকের দেহ শনাক্ত পরিবারের
    প্রতিদিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মা, আমার প্রথম ভালোবাসার মানুষ’। ‘বাবা, আমার শক্তি’। আর হাতের ধমনীর কিছুটা উপরে লেখা স্ত্রীয়ের নাম। ‘কৃতি’। পরিবারকে উৎসর্গ করে নিজের হাতে এভাবেই ‘ভালোবাসার উল্কি’তে ভরিয়ে দিয়েছিলেন দিল্লির চাঁদনি চকের বাসিন্দা অমর কাটারিয়া। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এক নিমেষে কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ। চিরতরে ভেঙে গেল ভোলাবাসার সেই শিকল! থেকে গেল শুধুই এক মুঠো স্মৃতি।  

    বছর ৩৪-এর অমর পেশায় ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। চার বছর আগে কৃতির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তিন বছরের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে তাঁদের। সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার কাছে গিয়েছিলেন অমর। তারপর তাঁর আর কোনও খোঁজ পায়নি পরিবার। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অমরের বাবা জগদীশ কাটারিয়া ভাঙা গলায় বলেন, “মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতাল থেকে ফোন এসেছিল। অমরের হাতের থাকা ট্যাটুর বিষয়ে বলতেই আমি নিশ্চিত করি।” এইটুকু বলেই আর কথা বলতে পারলেন না জগদীশ। অমরের মৃত্যুর ঘটনায় ভেঙে পড়েছে তাঁর গোটা পরিবার। মা-বাবা-স্ত্রীকে উৎসর্গ করে হাতে তিনি যে ট্যাটুগুলি এঁকেছিলেন, ভালোবাসার সেই উল্কিই শোকস্তব্ধ করে দিল তাঁর গোটা পরিবারকে।

    উল্লেখ্য, সোমবার দিল্লিতে বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গি হামলা হিসাবে ঘোষণা না করা হলেও তদন্তের গতিপথ সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার ভুটান থেকে পরিষ্কার জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্রকারীদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। সূত্রের খবর, হামলার নেপথ্যে রয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। যদিও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত হামলার দায়স্বীকার করেনি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের আগে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করছিল ঘাতক গাড়িটি। সেই সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)