শেখর চন্দ্র, আসানসোল: আগে এলাকায় দেখা যায়নি। তাঁদের জন্য কিছু করেননি বিধায়ক। এমনই অভিযোগ আসানসোলের ডামরা এলাকার বাসিন্দাদের। এলাকায় যেতেই অগ্নিমিত্রা পলকে দেখেই মিষ্টি দিয়ে প্রশ্নবাণ বাসিন্দাদের। সোমবারের ঘটনাটির ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
‘পাড়ায় পাড়ায় দিদিভাই কর্মসূচি নিয়ে গতকাল আসানসোলের ডামরা এলাকার যান বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি পৌঁছতেই স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে ঘিরে ধরেন। মিষ্টির প্যাকেট হাতে তাঁকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘এই ওয়ার্ডে কী করেছেন?’ অনেকে আবার জানতে চান ‘বিধায়কের কার্যালয়টি কোথায়?’ ‘বিধায়কের ফোন নম্বর কত?’ স্থানীয় একাংশ আবার অগ্নিমিত্রাকে মিষ্টি অফার করে বলেন— “দিদি, আগে কখনও আপনাকে দেখিনি। আপনার অফিস কোথায়? ভোট সামনে তাই এসেছেন নাকি?’’ একের পর এক প্রশ্নে কিছুটা অস্বস্তিতেই পড়েন বিধায়ক। তবে শান্তভাবেই উত্তর দেন, “আমার দলের কার্যকর্তারা সারাক্ষণ এলাকায় থাকেন, আমিও বহুবার এসেছি। আমার অফিস কোথায়, তা সবাই জানে।” এরপর তিনি এলাকা ছেড়ে চলে যান।
অগ্নিমিত্রার অবশ্য দাবি, তাঁকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। পতাকা আড়ালে রেখে তৃণমূল কাউন্সিলারের অনুগামীরা এই কাজ করেছেন। পালটা তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “শুধু অগ্নিমিত্রা পাল নন, কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দারকেও এলাকার মানুষ খুঁজে পান না। তাই আজ মানুষ মিষ্টি খাইয়ে তাঁদের মিষ্টি কথা শোনাতে চাইছে।”
জবাবে আবার অগ্নিমিত্রা বলেন, “সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। সারা বছর এলাকায় দেখা যায় আমাকে। আমার ফোন নম্বর সবাই জানেন। আমার কার্যালয় পুলিশ কমিশনার অফিসের পাশে ইভলিং লজে। যাঁরা আমাকে হেনস্থার চেষ্টা করেছে, তাঁরা সবাই ওই এলাকার তৃণমূল নেতা।’’ বিতর্ক উস্কে অগ্নিমিত্রা পালটা তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়দেরও দেখাই যায় না বলে অভিযোগ করেন। তৃণমূল কাউন্সিলর তরুণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই ওয়ার্ডে উনি কোনওদিনই আসেননি। কোনও কাজ করেনি। তাই সাধারণ মানুষ ওনাকে প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু দুর্ব্যবহার করেননি। উত্তর দিতে না পেরে উনি পালিয়ে যান। উনি সব কিছুর মধ্যে তৃণমূলের ভূত দেখছেন।”