• কৃষ্ণনগরে ছাত্রী খুন: ঈশিতার মৃত্যুর ৭৮ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট, কাঠগড়ায় প্রেমিক-সহ ৩
    আনন্দবাজার | ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • কৃষ্ণনগরের কলেজছাত্রী খুনের ৭৮ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। কৃষ্ণনগর মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে জমা পড়া প্রায় ৩০০ পৃষ্ঠার চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসাবে রয়েছে ঈশিতা মল্লিকের প্রাক্তন প্রেমিক দেশরাজ সিংহ, তাঁর বাবা বিএসএফ কর্মী রাঘবেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ এবং মামা কুলদীপ সিংহের নাম। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট, সংগঠিত অপরাধ-সহ অস্ত্র আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। নিহত ছাত্রীর পরিবার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

    কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজ সংলগ্ন নিজের বাড়িতে গত ২৫ অগস্ট গুলি করে খুন করা হয় ঈশিতাকে। অভিযোগ, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা দেশরাজ গুলি করে খুন করেন ঈশিতাকে। ঘটনাক্রমে নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। পরে গ্রেফতার হন তাঁর বাবা এবং মামাও। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে খুনিকে আশ্রয় এবং সাহায্যের অভিযোগ ওঠে।

    পুলিশের চার্জশিট অনুযায়ী, মূল অভিযুক্ত দেশরাজের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ১০৩, ১০৯ এবং ৬১ ধারা ও অস্ত্র আইনের ২৫ এবং ২৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। দেশরাজের বাবা রাঘবেন্দ্রর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩, ২০৩ এবং ৬১ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এবং মামা কুলদীপের ২৫৩, ৩৩৮, ৩৩৬, ৬১ ও ১০৩ ধারায় অভিযোগ এনেছে পুলিশ।

    পুলিশ চার্জশিটের সঙ্গে সঙ্গে একাধিক তথ্যপ্রমাণ জমা দিয়েছে আদালতে। মোট ২১ জন সাক্ষীর বয়ান রয়েছে তাতে। এ ছাড়াও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং ঘটনা পুনর্নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণও চার্জশিটের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ এবং আদালতের একটি সূত্রে খবর।

    মঙ্গলবার নিহত ছাত্রীর বাবা দুলাল মল্লিক বলেন, ‘‘পুলিশের উপর প্রথম থেকেই আস্থা ছিল আমাদের। পুলিশ আমাদের বারবার ভরসা দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। আশা করছি, দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অপেক্ষা করছি।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)