ফরিদাবাদ: মঙ্গলবার দিনভর ফরিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালাল পুলিশ। সোমবার ফরিদাবাদের দুটি ভাড়া বাড়ি থেকে প্রায় ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক, অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয় তিন চিকিত্সককে। আর তার কয়েক ঘণ্টা পরেই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকা। দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তবে, বিস্ফোরণের পরেই ফরিদাবাদে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। এদিন পুলিশের একটি টিম আল-ফালাহ মেডিকেল কলেজে যায়। ধৃত চিকিত্সক মুজাম্মিল শাকিল ওই মেডিকেল কলেজেই সাড়ে তিন বছর ধরে কর্মরত ছিল। তার ভাড়া বাড়ি থেকেই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত হয়। এদিন ওই চিকিত্সা প্রতিষ্ঠানের অন্য চিকিত্সক ও কর্মীদের জেরা করে পুলিশ। সূত্রের খবর, আটশোর বেশি পুলিশকর্মী এদিন মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালান। তাদের সঙ্গে ছিল বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। এছাড়া এদিন ধোজ এলাকায় মুজাম্মিলের ভাড়া নেওয়া বাড়ির চারপাশেও তল্লাশি চলে। ওই বাড়ির মালিক একজন ধর্মগুরু। তিনি এক অটোরিকশ চালককে ঘর ভাড়া দিয়েছিলেন। সেই অটোরিকশ চালক আবার ‘লাগেজ’ রাখার জন্য ঘরটি মুজাম্মিলকে ভাড়া দেয়।
এর মধ্যেই মঙ্গলবার সকালে গুজব ছড়ায় ফরিদাবাদে আরও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। তবে পুলিশ জানায়, বিস্ফোরক নয়, দেওয়ালির বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিন এক্স হ্যান্ডলে হরিয়ানা পুলিশের ডিজি ওপি সিং জানান, রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত। পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থা হাই অ্যালার্টে রয়েছে। কোনও গুজব না ছড়াতে আবেদন করেন তিনি। সন্দেহজনক কিছু দেখলে হেল্পলাইনে ফোন করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। দিল্লি বিস্ফোরণের পরেই হরিয়ানার সীমানা এলাকায় সব গাড়ি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বাস টার্মিনাস, রেল স্টেশন পার্কিং এরিয়া, হোটেল, ধর্মশালার মত জনবহুল এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।