• সাতবার হাতবদল হয়েছিল বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়ির
    বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক এক গাড়ি ডিলার। সোনু নামে হরিয়ানার বাসিন্দা এই ব্যক্তিই বিস্ফোরণে ব্যবহৃত আই২০ গাড়িটির বিক্রির নেপথ্যে ছিলেন। আটক ব্যক্তি রয়্যাল কার জোন নামে একটি সংস্থার মালিক। এই সংস্থাটি পুরোনা গাড়ি কেনাবেচার কাজ করে। ফরিদাবাদের সেক্টর ৩৭-এ রয়্যাল কার জোনের অফিস। আটকের পর হরিয়ানা পুলিশ সোনুকে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি আত্মঘাতী জঙ্গি ডাক্তার উমরের হাতে গিয়েছিল সোনুর মাধ্যমেই। প্রায় ১০০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এই গাড়িটির সন্ধান পায় পুলিশ। দুটি টিম ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ করছিল।

    গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সাদা আই২০ গাড়িটি মোট সাতবার হাতবদল হয়েছিল। গাড়ির মূল মালিক ছিলেন গুরুগ্রামের বাসিন্দা সলমন নামে এক ব্যক্তি। তিনি ২০২৫ সালের মার্চে এই গাড়ি বিক্রি করেন দেবেন্দর নামে ওখলার এক বাসিন্দাকে। দেবেন্দরও গাড়িটি বিক্রি করেন। হাতবদলের সূত্রেই আম্বালা থেকে গাড়িটি পৌঁছে যায় পুলওয়ামায়। সেখানে এই গাড়ির সঙ্গে আমির রশিদ, তারিক মালিক ও উমর রশিদ নামে তিন ব্যক্তির যোগ সামনে এসেছে। সোমবারই এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একটি ছবিতে চাবি সহ গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে আমিরকে। তদন্তকারীদের দাবি, আত্মঘাতী জঙ্গি উমরকে গাড়িটি দিয়েছিল এই আমিরই।
  • Link to this news (বর্তমান)