নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কংগ্রেস থেকে সমাজবাদী পার্টি। বিরোধী দলগুলি দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার দিকেই আঙুল তুলেছে। কংগ্রেস দাবি করেছে, আর কতবার হবে গোয়েন্দা ব্যর্থতা? উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাইয়ের দাবি, অমিত শাহ পদত্যাগ করুন। কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা ও মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়্গের আক্রমণ, এত ব্যর্থতা আর কোনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আমলে হয়নি। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা বলেছেন, সরকার চুপ কেন? কী হয়েছে সেটা তো বলুক! সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব বলেন, পুলওয়ামা থেকে পহেলগাঁও। উরি কিংবা পাঠানকোট বিগত ১১ বছরে অসংখ্য জঙ্গি হামলা হয়েছে। সরকার কোনও শিক্ষাই নেয়নি। এত গোয়েন্দা ব্যর্থতা কেন হচ্ছে? এই সরকার আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। অখিলেশ যাদবের তোপ, যে লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিয়ে থাকেন, সেখানেই এত বড় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা ব্যর্থতা? পালটা বিজেপি মঙ্গলবার বলেছে, বিরোধীরা সন্ত্রাস ও মানুষের মৃত্যু নিয়েও রাজনীতি করছে। যদিও খোদ লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণে যথেষ্ট ব্যাকফুটে ও বিব্রত মোদি সরকার। ড্যামেজ কন্ট্রোলে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী— প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছেন। অপারেশন সিন্দুরের আগে যেভাবে বলা হয়েছিল যে, ভারতবাসীর এই বলিদান বৃথা যাবে না, সেই ধাঁচেই আবার বলা হয়েছে, চক্রান্তকারীদের কঠোর জবাব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সোমবার রাতে লালকেল্লার কাছে হওয়া বিস্ফোরণের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, তাদের কাউকেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। নিহতদের পরিবারের কষ্ট ও বেদনা প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে এক হাহাকার। মঙ্গলবার তিনি ছিলেন ভূটানের থিম্পুতে। সেখানেই বলেন, চক্রান্তের শিকড়ে যাব। তারপর দোষীদের শাস্তি হবে। একই কথা বলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।