• নিঠারি কাণ্ড: শীর্ষ আদালতে শেষ মামলাতেও মুক্তি সুরিন্দর কোলির
    বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে শেষ মামলাতেও বেকসুর খালাস। অবশেষে জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন নিঠারি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সুরিন্দর কোলি। ২০০৬ সালের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সুরিন্দরকে প্রথমে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল সিবিআই আদালত। মোট ১৩ টি মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। তবে প্রমাণের অভাবে ১২টি  মামলা থেকে রেহাই পান সুরিন্দর। তাঁর মালিক মহিন্দর বেকসুর হয়েছেন ২টি মামলায়। সুরিন্দরের শেষ মামলাটি ছিল ১৫ বছরের কিশোরী খুনের অভিযোগে। মঙ্গলবার তাতেও বেকসুর খালাস হলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বি আর গভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ এই রায় শুনিয়েছে। ফলত জেলের বাইরে পা রাখতে আর কোনও বাধা রইল না সুরিন্দরের।  

     ২০০৬ সালের নিঠারি হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে আলোড়ণ ফেলে দেয়। একের পর এক খুন, ধর্ষণ, মৃতদেহের মাংস খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সুরিন্দরের বিরুদ্ধে। পুলিশি তদন্তে এও জানা যায়, মৃতের অঙ্গও বিক্রি করতেন সুরিন্দর। পুলিশের দাবি, তাঁর মালিকের বাড়িতেই একের পর এক শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হত। নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দায় চাপে তাঁর মালিক মহিন্দর সিং পান্ধেরের বিরুদ্ধেও। ২০০৭ সালে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। চলতি মামলায় সুরিন্দরকে মৃত্যদণ্ডের সাজা শোনায় সিবিআই আদালত। পরে এই সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তন করা হয়। এদিকে বছর ঘুরতেই সিবিআই আদালতের রায়কে চ্যালঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুরিন্দর। সেখানে প্রমাণের অভাবে দুজনকেই বেকসুর খালাস ঘোষণা করেন বিচারপতি। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই আবেদন জানালে, সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, তদন্তে একাধিক ত্রুটি রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণের মতো যথেষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রশাসনিক কাজ শেষ হলে জেল থেকে বের হবেন সুরিন্দর। উল্লেখ্য, নিঠারি কাণ্ডের বিভৎসতা নিয়ে ‘সেক্টর ৩৬’ নামে একটি সিনেমাও হয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে কতটা নির্লিপ্তভাবে একের পর এক খুন করা হয়েছে। -ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)