• সামরিক মানের বিস্ফোরক ব্যবহার হয়েছিল দিল্লিতে? গাড়ি বিস্ফোরণ কাণ্ডে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
    এই সময় | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • দিল্লির গাড়ি-বিস্ফোরণে ঠিক কী ধরনের রাসয়নিক বা বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ফরেনসিক রিপোর্ট আসেনি। NSG-এর বিশেষজ্ঞরাও কিছু বলেননি। এর মধ্যেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে সামরিক মানের শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল বলেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। সোজা কথায়, যে বিস্ফোরক সেনা জওয়ানদের ব্যবহারের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি হয়, তাই দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল। অন্তত অনুমান তেমনটাই। যদি সত্যি তাই হয়, তা হলে জঙ্গিরা এই বিস্ফোরক কোথা থেকে পেল, সেই প্রশ্ন উঠবে।

    ঘটনাস্থল থেকে ৪২টি নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে রয়েছে i20 গাড়ির টায়ার, চেসিস, CGC সিলিন্ডার, বনেটের অংশ এবং বিভিন্ন অবশেষ। ল্যাবরেটরিতে এই নমুনাগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। রিপোর্ট এলেই কী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল বোঝা যাবে।

    PETN, semtex বা RDX ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতামত জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মিশ্রিত জ্বালানি তেল এবং ডিটোনেটর ব্যবহারের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে যাই ব্যবহার হয়ে থাকুক না কেন, তা সামরিক মানের বলেই অনুমান।

    ‘সামরিক মান’ মানে যা সেনাবাহিনীর মানদণ্ড অনুযায়ী তৈরি হয়। জওয়ানরা তা যুদ্ধ বা প্রতিরক্ষা মিশনে ব্যবহার করেন। এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থের শক্তি অনেক বেশি। কার্যকারিতা রীতিমতো ভয়াবহ। নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার উদ্দেশেই ‘সামরিক মানের’ বিস্ফোরক প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত সেনাবাহিনী এবং নির্দিষ্ট কিছু সরকারি সংস্থাই এগুলো ব্যবহার করতে পারে।

    তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটিও বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছিল। ছিল ডিটোনেশন ব্যবস্থাও। ছোট ঘড়ি বা তার ব্যাটারি দিয়ে সার্কিট বানিয়েই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। তবে আসল ঘটনা জানতে হয়ত আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ফরেনসিক ল্যাব পরীক্ষার রিপোর্ট এলেই পরিস্কার হয়ে যাবে ছবিটা।

  • Link to this news (এই সময়)