সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল ১২। এই ঘটনার পর গোটা দেশের নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে জারি শুরু করা হয়েছে তল্লাশি অভিযান। বাংলা-সহ দেশের সমস্ত রাজ্যে জারি হয়েছে চরম সতর্কতা। উত্তরবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ এবং নেপাল সীমান্ত মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। বিশেষ করে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে ‘চিকেনস নেক’ অর্থাৎ শিলিগুড়ি করিডোর। শিলিগুড়ির রেল স্টেশনে, বাস স্টপগুলিতে চলছে নাকা তল্লাশি৷
উত্তরবঙ্গের আইজি রাজেশ কুমার যাদব বলেন, ‘দিল্লির ঘটনার পর আমরা নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছি না। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় । প্রতিটি থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয় হোটেলগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। প্রত্যেক জেলায় নাকা তল্লাশি শুরু করেছেন পুলিশ এবং বিএসএফ এবং এসএসবি আধিকারিকরা। ‘
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি রাকেশ সিং বলেন, ‘যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের প্রতিটি হোটেলে তল্লাশি চলছে। বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশনেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিমানবন্দরেও নজরদারি বাড়িয়েছে সিআইএসএফ।’
দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে কোচবিহার পর্যন্ত উত্তরের পাঁচ জেলায় প্রায় চার হাজার কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা। এখানে নজরদারি চালাচ্ছে চার সেক্টরের ১৮টি বিএসএফ ব্যাটেলিয়ন।
বিহার, সিকিম ও অসম সীমানা ঘেঁষা চিকেন নেক বরাবরই জঙ্গিদের সফট টার্গেটে হিসেবে ধরা হয়। চিকেনস নেক উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পথ। দিল্লিতে বিস্ফোরণের পরই এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হাই-অ্যালার্ট জারি করেছে।