দেশের বহু জায়গাতেই ছিল হামলার ছক! বিস্ফোরক সংগ্রহ করা হয় দু’বছর ধরে?
প্রতিদিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরু হয়েছে লালকেল্লার কাছে হওয়া বিস্ফোরণের তদন্ত। আর ততই নানা তথ্য হাতে আসছে। মনে করা হচ্ছে, কেবল দিল্লি নয়, দেশের বহু জায়গাতেই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের। সম্ভবত, সময়ের আগেই হামলা হয়েছে। কিংবা তাড়াহুড়ো করা হয়েছে। কার্যত তাতেই প্রাণ বেঁচে গেল বহু মানুষের। এদিকে এও মনে করা হচ্ছে, দু’বছর ধরে সংগ্রহ করা হয়েছিল বিস্ফোরক। এদিকে, বিস্ফোরণের জায়গায় এখনও রয়েছে কড়া পাহারা। আশপাশে তীক্ষ্ণ নজরদারিও করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, একদিন আগেই দিল্লিতে বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গি হামলা হিসেবে ঘোষণা না করা হলেও তদন্তের গতিপথ সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিষ্কার জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্রকারীদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। সূত্রের খবর, হামলার নেপথ্যে রয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। যদিও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত হামলার দায়স্বীকার করেনি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের আগে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করছিল গাড়িটি। ঘাতক গাড়ির সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে। চলছে তদন্ত।
সূত্রানুসারে, ষড়যন্ত্রকারীরা প্রায় দু’বছর ধরে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংগ্রহ করছিল। আর এর থেকেই জইশের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে। কারণ, এই জঙ্গি গোষ্ঠীকেই সম্প্রতি হামলায় এমন বিস্ফোরকই ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের আগে ঘাতক গাড়িটি প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ গাড়িটি প্রথমবার বিক্রি হয়। কেনেন জনৈক সলমন। পরে তিনি গাড়িটি দিয়ে দেন দেবেন্দ্রকে। তবে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ছাড়াই। পরে সেখান থেকে মালিকানা বদল হয় সোনুর কাছে। এরপর গাড়িটি যায় তারিকের কাছে। কিন্তু গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে কোনও বদল হয়নি। তবে এই প্রক্রিয়ায় ফরিদাবাদের এক গাড়ি বিক্রেতার নামও জড়িয়ে গিয়েছে। ফরিদাবাদ থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাদিম খান নামের ওই ব্যক্তিকে। তাঁকে জেরা করেই তারিকের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা।