• দিওয়ালি, ২৬ জানুয়ারি ছিল প্ল্যানে! লালকেল্লার বিস্ফোরণ কাণ্ডে মিলল বিস্ফোরক তথ্য
    প্রতিদিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মুজাম্মিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মিলছে বিস্ফোরক তথ্য। জানা যাচ্ছে, সাধারণতন্ত্র দিবসেই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল আততায়ীদের। আর সেজন্য লালকেল্লায় রেইকিও করে যায় তারা। এছাড়াও এবছরের দিওয়ালিতেও নাকি জনবহুল স্থানে বিস্ফোরণ ঘটানোর মতলব ছিল তাদের। কিন্তু তা কার্যকর করা যায়নি।

    দিল্লি বিস্ফোরণের পরেই দেশজুড়ে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আর এরপরই শুরু হয়েছে তদন্ত। বুধবার সকালেও বিস্ফোরণের স্থানে রয়েছে কড়া প্রহরা। দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গাতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে সেনার তরফে।

    তদন্তে উঠে এসেছে, মূলত ফরিদাবাদের আল ফালা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক রয়েছে এই নাশকতার নেপথ্যে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ একে বলছে ‘হোয়াইট কলার টেরর ইকোসিস্টেম’। ধৃত মুজাম্মিলকে জেরা করে আরও তথ্য জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে সামাজিক তথা দাতব্য কাজের আড়ালেই সন্ত্রাসের তহবিল গোছানো চলছিল। সম্ভাব্য হামলাকারীদের মৌলবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা, আইইডি তৈরির উপকরণ সংগ্রহের মতো কাজ করা হচ্ছিল রীতিমতো সুপরিকল্পিত ভাবে। যত তথ্য হাতে আসছে ততই বিস্মিত পুলিশ।

    বিস্ফোরণ ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নাকের ডগায় এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল কী ভাবে? অনেকেই এই ঘটনার দায় চাপাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপর। বিরোধীরা সরাসরি তাঁর পদত্যাগ দাবি করছেন। এরই মধ্যে হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দফায় দফায় বৈঠক করেছেন আধিকারিকদের সঙ্গে। একটাই নির্দেশ, যেভাবেই হোক খুঁজে বের করতে হবে দোষীদের। পরে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে শাহ লেখেন, ‘দিল্লির গাড়িবোমা বিস্ফোরণ নিয়ে রিভিউ মিটিংয়ের সভাপতিত্ব করলাম। শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আধিকারিকদের এই ঘটনার নেপথ্যে জড়িত প্রত্যেক দোষীকে খুঁজে বার করার নির্দেশ দিয়েছি। তারা এ বার আমাদের তদন্তকারী সংস্থাগুলির ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ দেখবে।’
  • Link to this news (প্রতিদিন)