২৬/১১ ধাঁচেই হামলার পরিকল্পনা ছিল দিল্লিতে, তদন্তে উঠে আসছে তুরস্ক যোগ!
বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বর: শুধুই লালকেল্লার বাইরে নয়, দিল্লির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা চালানোই লক্ষ্য ছিল মুজাম্মিলদের। এমনই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তদন্তে উঠে এসেছে। মুম্বইয়ে ২৬/১১ ধাঁচের হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল উমর, মুজাম্মিলদের। সেইমতো শুধুই দিল্লির লালকেল্লা চত্বর নয়, একাধিক রেল স্টেশন, শপিং মল, ইন্ডিয়া গেট, কনস্টিটিউশন ক্লাব ও গৌরীশঙ্কর মন্দির ছিল সন্দেহভাজন জঙ্গিদের নিশানায়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অপারেশন সিন্দুরের পাল্টা নয়, জানুয়ারি মাস থেকেই ভারতের রাজধানীতে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ধৃত চিকিৎসক সন্দেহভাজন জঙ্গিদের যোগাযোগ রয়েছে জয়েশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে। এমনটাই দাবি এক সূত্রের। মোট ২০০টি শক্তিশালী আইইডি বানানোর ছক ছিল ধৃতদের। যা দিয়ে শুধুই দিল্লি নয়, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদেও হামলা চালাত তারা। মূলত ওই সন্দেহভাজন জঙ্গিদের নিশানায় ছিল ধর্মীয়স্থান।দিল্লি ও আশেপাশের এলাকার ধর্মীয়স্থানে হামলা চালিয়ে ভারতে সাম্প্রদায়িক অরাজকতা সৃষ্টির ছক ছিল। যা আপাতত ভেস্তে গিয়েছে বলেই বিশ্বাস তদন্তকারীদের। এবারের পরিকল্পনা আরও সুদৃঢ় ছিল, সেই কারণেই চিকিৎসক মডিউল ব্যবহার করা হয়েছিল। যাতে কারোর সন্দেহ না হয়। ফরিদাবাদেই বড় ঘাঁটি গড়ার পরিকল্পনা ছিল ধৃত মুজাম্মিলদের। যদিও ওই চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি কোনও যোগ নেই বলে আজ, বুধবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে তদন্তকারীরা আরও বেশ কয়েকটি তথ্য ধৃত চিকিৎসকদের নিয়ে পেয়েছে। লালকেল্লার বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনার পিছনে রয়েছে দুটি টেলিগ্রাম চ্যানেল। তুরস্কে জয়েশের হ্যান্ডেলারদের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন মুজাম্মিল শাকিল ও উমর মহম্মদ। এমনটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। যদিও তদন্ত আরও গভীরে চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। অপরদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে জোরকদমে তল্লাশিও চালাচ্ছে পুলিশ।