• দেশ জুড়ে আতঙ্কের হাওয়া! এই আবহেই বীরভূমের চারচাকা থেকে উদ্ধার প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক...
    ২৪ ঘন্টা | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • প্রসেনজিত্‍ মালাকার: দিল্লি বিস্ফোরণে পরদিনই পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক ভর্তি একটি চারচাকা গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল পুলিস। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের মধ্যে রয়েছে ২০ হাজার জিলেটিন স্টিক। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া বীরভূমের নলহাটি থানার সংকেতপুর গ্রামে।  

    ঘটনায় নারায়ণ ঘোষ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রাতে ওই এলাকায় টহলদারি চালানোর সময় পুলিস চারচাকা গাড়িটি দেখতে পান। গাড়িটি আটক করে তল্লাশি চালানোর সময় বিষ্ফোরক গুলি দেখতে পায় পুলিস। এরপরেই গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করে নলহাটি থানার পুলিস। তবে গাড়িটির চালক ও খালাসি পলাতক। বিস্ফোরক গুলি কোথায় ও কী কারনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই বিষয়টি তদন্ত করছে বীরভূম জেলা পুলিস। দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনার একদিন পর এরাজ্যের ঝাড়খণ্ড ও মুর্শিদাবাদ লাগোয়া বীরভূমে বিপুল পরিমানে বিষ্ফোরক উদ্ধারে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    উল্লেখ্য, দিল্লির লাল কেল্লায় বিস্ফোরণকাণ্ডে সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা গোটা দেশের মাথা ঘুরিয়ে দেবে। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা আসলে আরও বড় ও ভয়ংকর হামলার পরিকল্পনা করেছিল। সূত্রের খবর, প্রধান অভিযুক্ত মুজাম্মিল জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, সে ও তার সহযোগী উমর বিস্তারিতভাবে লালকেল্লা এলাকায় রেইকি করেছিল। যেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন।  

    নিরাপত্তা সংস্থাগুলির ধারণা, তারা ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের সময় হামলার পরিকল্পনা করেছিল - লক্ষ্য ছিল লালকেল্লা, যা ভারতের অন্যতম প্রতীকী ও কঠোরভাবে সুরক্ষিত এলাকা। মুজাম্মিলের ফোন থেকে পাওয়া তথ্য ও ডেটা তদন্তকারীদের হাতে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র তুলে দিয়েছে। তাতে রয়েছে রেইকি-র ভিডিয়ো, বার্তা এবং লালকেল্লা এলাকার রুট ম্যাপ।

    কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, মেট্রো স্টেশনের কাছে হওয়া বিস্ফোরণটি হয়তো একটি 'পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ' ছিল, যার মাধ্যমে বড় হামলার প্রস্তুতি যাচাই করা হচ্ছিল। এই তথ্য প্রকাশের পর তদন্ত আরও জোরদার করা হয়েছে, এবং একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)