‘অ্যাপটিটিউড টেস্ট’ না দিয়েই চালকের আসনে! ছত্তিশগড়ে রেল দুর্ঘটনায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতিদিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২০ জন। এই পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ‘সাইকোলজিক্যাল অ্যাপটিটিউড টেস্ট’ না দিয়েই ট্রেনের চালকের আসনে বসেছিলেন বিদ্যাসাগর। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই প্রশ্ন উঠছে, পরীক্ষা না দিয়ে কীভাবে তিনি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর ছাড়পত্র পেলেন?
যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকের আসনে বসতে গেলে প্রত্যেককেই ‘সাইকোলজিক্যাল অ্যাপটিটিউড টেস্ট’-এ উত্তীর্ণ হতে হয়। কিন্তু তদন্তকারীদের একটি সূত্রের খবর, বিদ্যাসাগর সেই পরীক্ষা দেননি। শুধু তাই নয়, বিলাসপুর এবং নাগপুর বিভাগের বহু লোকো পাইলটই গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষাটিতে উত্তীর্ণ হয়নি বলে খবর। জানা গিয়েছে, বিলাসপুর বিভাগে ৪২ জন লোকো পাইলটের মধ্যে ৩০ জন এবং নাগপুর বিভাগে ৫৬ জনের মধ্যে মাত্র ৩৩ জন লোকো পাইলট এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিলাসপুরে রেল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ সতর্কবার্তা উপেক্ষা। যাত্রীবাহী ট্রেনটি মালবাহী ট্রেনে ধাক্কা দেওয়ার আগে একাধিক সতর্কতা এবং বিপদ সংকেত উপেক্ষা করেছিল। প্রাথমিক অনুসন্ধানে লোকো পাইলটের ভুল সিদ্ধান্তের বিষয়টি উঠে এসেছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যখন যাত্রীবাহী ট্রেনটি গাতোরা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়, তখন সবুজ সংকেত পাওয়ার পর এটি ঘণ্টায় ৭৬ কিলোমিটার বেগে চলছিল। এরপর জোড়া হলুদ এবং একটি হলুদ সংকেত অতিক্রম করে। দুটি সংকেতই ট্রেনটিকে গতি কমাতে সতর্ক করেছিল, যদিও গতি কমাননি চালক।
তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন, সংঘর্ষের কিছুক্ষণ আগে ট্রেনটি একটি লাল বিপদ সংকেত পেয়েছিল। তাতেও ট্রেন থামেনি। সেই সময়ে ট্রেনটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে চলছিল। এরপরেই একই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের চালক বিদ্যাসাগর কিছুদিন আগেই যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর ছাড়পত্র পান। কিন্তু ‘সাইকোলজিক্যাল অ্যাপটিটিড টেস্ট’ না দিয়েই কীভাবে তিনি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর ছাড়পত্র পেলেন? উঠছে প্রশ্ন।