• এখানেই তৈরি হত জেহাদি ডাক্তার? দিল্লি বিস্ফোরণে কী বলছে ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়
    প্রতিদিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে বিস্ফোরণের পরেই তদন্ত শুরু হয়েছে ঘটনার কেন্দ্রে থাকা গাড়ি নিয়ে। তদন্ত করতে গিয়ে উঠে জেহাদিসেছে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। জানা গিয়েছে,  ২৯ অক্টোবর থেকে প্রায় ১০ নভেম্বর পর্যন্ত তা রাখা ছিল হাসপাতালের ক্যাম্পাসে। বুধবার এক বিবৃতিতে ধৃতদের সঙ্গে হাসপাতালের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানানো হয়েছে। দাবি করা হয়েছে ধৃতরা ওই হাসপাতালে কাজ করতেন। এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই।

    বুধবার আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিবৃতি জারি করেছে। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তকারী সংস্থা যে ডাক্তারদের গ্রেপ্তার করেছে তাদের সঙ্গে হাসপাতালের কোনও সম্পর্ক নেই। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পদে কর্মরত ছিল। এর বাইরে কোনওভাবে হাসপাতালের সঙ্গে এই মামলাকে যুক্ত করার চেষ্টা ‘ভিত্তিহীন এবং মানহানিকর’ বলে দাবি করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে।

    বিবৃতিতে, উপাচার্য অধ্যাপক (ড.) ভূপিন্দর কৌর আনন্দ বলেছেন, ‘এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত এবং দুঃখিত এবং এর নিন্দা জানাই। এই মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল সাধারণ মানুষের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে।’

    উপাচার্য নিশ্চিত করেছেন ওই হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। যদিও, তিনি জানিয়েছেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা ওই হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। এর বাইরে তাদের সঙ্গে হাসপাতালের অন্য কোনও সম্পর্ক নেই।’

    উপাচার্য জানিয়েছেন, ১৯৯৭ সাল থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চালানোর পরে ২০১৪ সালে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক এবং চাকরি সংক্রান্ত শিক্ষা দান করছে। পাশপাশি এমবিবিএস পড়ুয়ারাও এখানে পড়েন।’ তাঁর দাবি, ‘বিভিন্ন খবরে যে রাসায়নিক পদার্থের কথা উঠে আসছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই শুধুমাত্র ব্যবহার হয়ে পড়াশুনার কাজে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তিনি খারিজ করে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আহ্বান জানান এই ঘটনায় যাতে এখানকার পড়ুয়াদের পড়াশোনার কোনও ক্ষতি না হয়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)