মুক্তমনা স্ত্রী কী করে ‘জঙ্গি’ হল বুঝতে পারছেন না ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারে গ্রেপ্তার চিকিৎসকের স্বামী
প্রতিদিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাহিন শাহিদ। ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত লখনউয়ের মহিলা চিকিৎসক ছিল একজন মুক্তমনা। ধর্মীয় গোঁড়ামি পছন্দ ছিল না তার। শাহিনের প্রাক্তন স্বামী হায়াত জাফরের দাবি এমনই। তিনিও পেশায় চিকিৎসক। ২০১২ সালে জাফরের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে যায় তার। তারপর থেকে আর যোগাযোগ নেই বলেই জানাচ্ছেন তিনি। এই কয়েক বছরে কী করে এতটা বদলে গেলেন শাহিন বুঝতে পারছেন না তিনি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমার কোনও সম্পর্ক নেই ওর সঙ্গে। কোনওরকম নৈকট্যই নেই আর। আমাদের সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল। ২০১২ সালে আমাদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। দুই সন্তানই আমার সঙ্গে থাকে। ছাড়াছাড়ির পর থেকে আর যোগাযোগ হয়নি।” কেমন ছিল এক যুগ আগের শাহিন? জাফর বলছেন, ”ও একেবারেই ধার্মিক ছিল না। বরং মুক্তমনা ছিল। চেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া বা ইউরোপে চলে যেতে। এরপরই আমরা আলাদা হয়ে যাই। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া নিয়ে মতবিরোধ হয়েছিল।” সেই সঙ্গেই ডাক্তারবাবু জানাচ্ছেন, তাঁর সন্তানরাও কথা বলে না শাহিনের সঙ্গে।
পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে অপারেশন সিঁদুরে জইশের কোমর ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানে মৃত্যু হয় মাসুদ আজাহারের পরিবারের ১১ সদস্যের। এর ঠিক পরই ভারতের বিরুদ্ধে বদলা নিতে মাসুদ আজাহারের বোন সাদিয়ার নেতৃত্বে নয়া মহিলা ব্রিগেড তৈরির ঘোষণা করে জইশ। ভাওয়ালপুরের মার্কাজ-উসমান-ও-আলি থেকেই এই সংগঠন তৈরি করা শুরু করে জইশ। নতুন এই মহিলা ব্রিগেডের নাম জামাত-উল-মোমিনাত। সূত্রানুসারে, শাহিন শাহিদকেই দেওয়া হয়েছিল সেই শাখার দায়িত্ব। যদিও মাথায় থাকবে সাদিয়া। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, লখনউয়ের লালবাগের বাসিন্দা ছিল শাহিন। তার গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল। সে চিকিৎসক আল-ফালা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করত।