• নিঠারি হত্যাকাণ্ডে মুক্ত ‘নরখাদক’রা! আমাদের সন্তানদের কি ভূতে খুন করল? প্রশ্ন বাবা-মায়ের
    প্রতিদিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিন্দর সিং পান্ধের আগেই মুক্তি পেয়েছিল। এবার মুক্তি পেয়ে গেল সুরিন্দর কোলিও। দেশের সবচেয়ে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের অন্যতম নিঠারি হত্যাকাণ্ডের মূল দুই অভিযুক্তই জেলমুক্তির পথে। খবর পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্বজনহারারা। তাঁদের প্রশ্ন, “আমাদের সন্তানদের কি ভূতে খুন করল?”

    সোমবার নিঠারি হত্যাকাণ্ডের শেষ মামলাতেও বেকসুর খালাস পেয়ে গিয়েছে সুরিন্দর কোলি। অসংখ্য যুবতী, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন, নরমাংস ভক্ষণ, শবদেহের সঙ্গে সঙ্গমের চেষ্টার মতো জঘন্য অপরাধের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ফাঁসির সাজা খারিজ হয়েছিল আগেই। এবার শেষ মামলাতেও নির্দোষ প্রমাণিত হল সে। তাই আর মুক্তিতে বাধা রইল না সুরিন্দরের। সোমবার নিঠারি হত্যাকাণ্ডের শেষ মামলার শুনানিতে সুরিন্দরকে বেকসুর খালাস করেন দেশের প্রধান বিচারপতি বি আর গভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ। কোলির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৩টি মামলার মধ্যে ১২টি মামলাতেই আগেই খালাস পায় সে। শেষ মামলা ছিল ১৫ বছরের এক কিশোরীকে খুনের অভিযোগে। সেই মামলাতেও পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়ে গেল। শীর্ষ আদালত প্রমাণের অভাবের জন্য তদন্ত প্রক্রিয়াকে কাঠগড়ায় তুলেছে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলে দিচ্ছে, পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ার গলদেই প্রমাণ মিলছে না অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

    ২০০৫-২০০৬ সালে নয়ডায় নিঠারি হত্যাকাণ্ডের খবরে শিউরে উঠেছিল দেশ। এলাকার ধনী ব্যক্তি মণিন্দর সিং পান্ধের ও তার পরিচারক সুরিন্দরের নাম জড়ায় একের পর এক শিশু, কিশোরী নিখোঁজ এবং পরে নর্দমার পাড় থেকে তাদের দেহাবশেষ উদ্ধারের ঘটনায়। ধারাবাহিক নিখোঁজ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে ২০০৬ সালে নয়ডায় সুরিন্দর ও মণিন্দরের মতো দুই ‘নরখাদকে’র খোঁজ পান তদন্তকারীরা। এবার তারা ছাড়াও পেয়ে গেল।

    সে খবর জানার পরই সন্তানহারা বাবা-মায়েরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। তাদের প্রশ্ন, “পান্ধের ছাড়া পেয়ে গেল, সুরিন্দর কোলিও ছাড়া পেয়ে গেল। নরখাদকরা কোনও অপরাধই করেনি! তাহলে এতদিন তাদের জেলে বন্দি করে রাখা হল কেন? আমাদের সন্তানকে কি ভূতে খুন করল?” আর এক অভিভাবক বলছেন, “কোলি, পান্ধেররা যদি নির্দোষ হয়, তাহলে যারা এতদিন তাদের জেলে রেখেছিল তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। কারও তো শাস্তি পাওয়া উচিত।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)