• ছিল না পরিচয়পত্র, এনুমারেশন ফর্ম পেয়ে দুশ্চিন্তা, ‘SIR আতঙ্কে’ এবার মৃত্যু নোয়াপাড়ায়!
    প্রতিদিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: ফের এসআইআর আতঙ্কে বাংলায় মৃত্যু! গতকাল, মঙ্গলবার বাড়িতে এসআইআরের ফর্ম দিয়ে গিয়েছিলেন বিএলও। কিন্তু মা ও ছেলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল না বলে খবর। সেই বিষয়ে দুশ্চিন্তা ছড়িয়েছিল যুবকের মধ্যে। পরে গভীর রাতে তার গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত ওই যুবকের নাম সুমন মজুমদার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কলকাতার উপকণ্ঠ নোয়াপাড়া এলাকায়।

    ৩২ বছরের মৃত ওই যুবক পেশায় টোটোচালক বলে জানা গিয়েছে। নোয়াপাড়া এলাকার গারুলিয়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়িয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা থেকে উলুবেড়িয়া, মুর্শিদাবাদে ‘এসআইআর আতঙ্কে’ একাধিক মানুষ মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়কে সামনে রেখে রাজনৈতিক তরজাও চলছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। সেই আবহেই এবার সামনে এল নোয়াপাড়ার এই ঘটনা।

    মা ও ছেলের এসআইআরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই বলে খবর। এসআইআর শুরুর পর থেকেই সুমন মজুমদার দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন বলে খবর। গতকাল, মঙ্গলবার বেলায় এলাকায় বিএলও তাঁদের বাড়িতে এসআইআরের এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে এসেছিলেন বলে খবর। সেই ফর্ম পাওয়ার পর থেকেই সুমন মজুমদার আরও দুশ্চিন্তা, আতঙ্কের মধ্যে চলে যান বলে খবর। মা দীপা মজুমদার জানান, গতকাল তাঁদের কাছে এসআইআর এর ফর্ম এসেছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজ তাঁদের কাছে নেই। এই বিষয়ে চিন্তিত ছিল সুমন। এরপরেই গতকাল গভীর রাতে ঘর থেকে সুমনের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।

    খবর দেওয়া হয় নোয়াপাড়া থানায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে বারাকপুরের বিএনবসু মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে যান নোয়াপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক রাকেশচন্দ্র সাধুকা। তিনি মৃতের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। গারুলিয়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা পঙ্কজ দাসও মৃতের মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এসআইআর আতঙ্কেই সুমন ‘আত্মঘাতী’ হয়েছেন বলে দীপা মজুমদার তাঁকে জানিয়েছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)