শীতকালীন অধিবেশনে বসতে চান পার্থ, তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডেড হয়ে কোন আসন পাবেন বিধায়ক?
প্রতিদিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলমুক্তির পর বাড়ি ফিরেই ঘনিষ্ঠবৃত্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি কাজে ফিরতে চান। শোনা যাচ্ছে, বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশনেও নাকি যোগ দিতে চাইছেন তিনি। সেখানে সমস্যা একটাই, তিনি কোথায় বসবেন। কারণ, তৃণমূলের টিকিটে জিতলেও দল তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। ফলে নিজের পছন্দের আসনে বসতে পারবেন না তিনি।
বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে স্পিকারের ডানদিকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা। তারপর বৃত্তাকারভাবে বসেন শাসকদলের বিধায়করা। স্পিকারের বামদিকে বসেন বিজেপির বিধায়করা। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যবর্তী আসনে বসেন আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফিরলে তিনি কোন আসনে বসবেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও শাসকদলের তরফে এবিষয়ে মুখ খোলেননি কেউ। কারণ, পার্থকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে দল। তিনি এই মুহূর্তে তৃণমূল পরিবারের অংশ নন। ফলে মনে করা হচ্ছে, নওশাদ যে জায়গায় বসেন, তার পাশেই বেহালা পশ্চিমের পাঁচবারের বিধায়ক পার্থর বসার ব্যবস্থা করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাড়ি ফিরেই বেহালা পশ্চিমের বাসিন্দাদের আস্থা ফেরাতে মরিয়া পার্থ। ফিরতে চাইছেন সক্রিয় রাজনীতিতে। তাঁর কথায়, “আমি বেহালাবাসীর কাছে দায়বদ্ধ।” একাধিকবার তিনি জানিয়েছেন নিজের এলাকায় যাবেন। পাশাপাশি তিনি এলাকাবাসীদের খোলা চিঠিও লিখেছেন। সেই চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চাকরি দেওয়ার বদলে কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। তাঁর নাম করে কেউ টাকা তুলেছেন কি না, সেকথাও জানতে চান পার্থ। বলেন, “কারও টাকা নিয়ে থাকলে প্রমাণ দিন।” প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় পার্থকে। প্রায় সাড়ে তিনবছর পর মঙ্গলবার বাড়ি ফিরেছেন তিনি।