• তলপেট-ফুসফুস ছিন্নভিন্ন, ফেটেছে কানের পর্দা, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ভয়াবহ বিবরণ
    এই সময় | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • লাল কেল্লার সামনে গাড়ি বিস্ফোরণের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই খুলছে রহস্যের নানা সূত্র। এরই মধ্যে সামনে এল বিস্ফোরণে মৃতদের ময়নাতদন্তর প্রাথমিক রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে যে বিবরণ রয়েছে তা শিউরে ওঠার মতো। সোমবারের সন্ধ্যায় গাড়ি বিস্ফোরণের তীব্রতা ঠিক কতটা ছিল, তার অনেকটাই আন্দাজ পাওয়া যায় এই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে।

    বুধবার সামনে এসেছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক কিছু বিবরণ। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, নিহতদের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। নিহতদের মাথায় এবং দেহের ভিতরে থাকা অঙ্গে ব্যাপক আঘাত পাওয়া গিয়েছে।

    ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিস্ফোরণের অভিঘাতে ফুসফুস, কান এবং তলপেটের ভিতরের অঙ্গে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। ইয়ারড্রাম, ফুসফুস এবং অন্ত্র ফেটে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিস্ফোরণের অভিঘাত কতটা মারাত্মক ছিল, এর থেকেই আন্দাজ করা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে, নিহতদের শরীরের উপরের দিক, মাথা ও বুকে বেশি আঘাত লেগেছে। অর্থাৎ বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছিটকে পড়েছেন তাঁরা। ANI সূত্রের খবর, হাই-ইম্প্যাক্ট শকওয়েভের কারণে হওয়া চোটের চিহ্ন মিলেছে।

    ময়নাতদন্তে নিহতদের শরীরে বা কাপড়ে কোনও সপ্লিন্টার মেলেনি। সাধারণত বোমা বিস্ফোরণে সপ্লিন্টার পাওয়া যায়। এই কারণেই তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ১০/১১-র দিল্লির বিস্ফোরণে কী রকম বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে, তা ফরেন্সিক অ্যানালিসিসের পরেই পাওয়া যাবে।

    তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যে গাড়িতে বিস্ফোরক ছিল সেটা চালাচ্ছিল ডা. উমর উন নবি। তার মায়ের ডিএনএ স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছে, বেশ কিছু পরীক্ষার জন্য। এছাড়াও আরও কিছু সোয়্যাব স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছে রোহিনীর ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে।

  • Link to this news (এই সময়)