মৌমিতা চক্রবর্তী: 'পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষার দায় কার? শুধু বাঙালি হিন্দুর, নাকি ভারত সরকারেরও'? RSS-র মুখপাত্র 'স্বতিকা'য় এবার সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ! ধৃতরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করা হল বিজেপির দুই শীর্ষ নেতাকে।
RSS-র মুখপত্রে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ। ৩ নভেম্বর প্রকাশিত সংখ্য়ায় RSS নেতা নেতা শিবেন্দ্র ত্রিপাঠীর লিখেছেন, '২০১৯ সাল থেকে বাঙালি হিন্দু তারা প্রতিটি নির্বাচনে বারে বারে কেন্দ্রীয় সরকারে নিঃশর্ত সমর্থন জুগিয়েছে। মুখ চেয়ে বসে আছে এই ভেবে কেন্দ্র তাদের রক্ষা করবে। এখন কেন্দ্র সরকারকেই প্রমাণ করতে হবে যে, তাদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার উপযুক্ত কিনা'।
বামেদের মুখে 'মোদী-দিদি' সেটিংয়ের কথা শোনা যায়, সেকথাও উল্লেখ করা হয়েছে RSS-র মুখপত্রে। শিবেন্দ্রের অভিযোগ, 'পশ্চিমবঙ্গের এই দুর্দিনে রাজ্যবাসীর পাশে থাকার কথা যার, দেশের সেই সর্বময়কর্তা এখনও দিদি-ভাইয়ের মধুর সম্পর্ক রক্ষায় ব্যস্ত। এতে নাকি দেশের গণতন্ত্রের ভিত শক্ত হয়। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধুর সম্পর্ক পাকাপোক্ত হয়। তাই তিনি বঙ্গজননীর আর্তনাদ না শোনার প্রতিজ্ঞায় অটল'।
তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কটাক্ষ, 'আরএসএস আবার বাংলা নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করল কবে থেকে! তারা জীবনে বাংলা নিয়ে চিন্তা করেননি। তারা হিন্দুভাষীদের কথা ভাবে'। তিনি বলেন, 'শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বাংলার কুসন্তান। সবথেকে বড় বিপ্লবী নেতাজি, তাকে গ্রেফতার করিয়েছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বাংলার বুকে যখন ভারত ছাড়়ো আন্দোলন চলছে, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বড়লাটকে চিঠি লিখে বললেন, আমি সব ব্যাটাকে গ্রেফতার করব। আমায় ক্ষমতা দিন। এসব ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন চলবে না। বাঙালিকে আবার ভালোবাসল কবে! আজকে হঠাত্ আরএসএস বলছে, বাঙালিকে রক্ষা করা, করতে পারেনি নরেন্দ্র মোদী'।
জয়প্রকাশের মতে, 'এরা সবাই একই দোষে দোষী। আরএসএসই হোক, আর ওদিকে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহই হোক। বাঙালির জন্য চিন্তা আগেও করেনি, এখনও করছে না। বাঙালিদের দমিয়ে রাখতে চায়। ইংরেজরা পারেনি, এখন আরএসএস চেষ্টা করছে, তারাও পারবে না'।