দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে বাংলায় এল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। বিস্ফোরণের দু’দিন পরে বুধবার গোয়েন্দাদের একটি দল গেল মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের নিমগ্রামে। নিমগ্রামে এক ঠিকাশ্রমিকের বাড়িতে অভিযান চালান গোয়েন্দারা। তার পর ওই দল ঘুরেছে মুর্শিদাবাদের আরও কিছু জায়গায়।
জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত একজনের মোবাইল ঘেঁটে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই সূত্র ধরেই নিমগ্রামের বাসিন্দা মইনুল হাসান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে যায় এনআইএ। স্থানীয় সূত্রে খবর, মইনুল বেশ কয়েক বছর ধরে দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো শহরে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেছেন।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ, বিভিন্ন শহরে কাজের সূত্রে জঙ্গি সংগঠনের কয়েক জন সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ হয় মইনুলের। সেই সম্পর্কিত তথ্য জানতে নিমগ্রামে হানা দেয় গোয়েন্দাদের একটি দল। মইনুলের বাড়িতে দীর্ঘ ক্ষণ তল্লাশি চলে। যদিও ওই অভিযানের সময় মইনুল বাড়িতে ছিলেন না। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে। মইনুলের ভাই আসাদ হোসেনের সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ‘‘এনআইএ নিয়ে কিছু বলতে পারব না। দাদা এখন বাইরে আছে।’’
দিল্লির নাশকতার ঘটনায় মুর্শিদাবাদের নাম উঠে আসায় শোরগোল এলাকায়। এর আগেও ওই জেলা একাধিক জঙ্গি সংগঠনের কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে এসেছে। অতীতে বেশ কয়েক বার ভারতবিরোধী, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-র মতো সংগঠনের একাধিক সদস্য মুর্শিদাবাদ থেকেই গ্রেফতার হয়েছে। মইনুল কোনও জঙ্গি মডিউলের অংশ কি না, তা পরিষ্কার নয়। তবে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের পাশাপাশি জেলার আরও কয়েক জনের উপর নজর গোয়েন্দাদের।