ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু হওয়ায় এনুমারেশন ফর্ম বাড়ি বাড়ি বিলি করছেন বুথ স্তরের আধিকারিকেরা (বিএলও)। কিন্তু ফর্ম পূরণের ঝক্কিতে চাপে পড়েছেন সাধারণ ভোটারেরা। কী ভাবে ফর্ম পূরণ করবেন, তা বুঝতে না পেরে অনেকেই দ্বারস্থ হচ্ছেন বিভিন্ন সাইবার ক্যাফের। সেই সুযোগে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে অনলাইন সেন্টার, সাইবার ক্যাফেগুলি।
প্রতি ভোটারকে দু’টি করে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। এতে ২০০২ ও ২০২৫ সালের ভোটার তালিকার তথ্য এবং দু’কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগছে। ফলে ভোটারদের অনেকে বাধ্য হচ্ছেন অনলাইন সেন্টারে গিয়ে পুরোনো ও নতুন ভোটার তালিকা ডাউনলোড ও প্রিন্ট করাতে। অভিযোগ, অনেক সেন্টার এই সুযোগে তালিকা প্রিন্ট করতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। ছবি তুলতেও খরচ হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। এনুমারেশন ফর্ম পূরণের খরচ মেটাতে গিয়ে চাপে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
ভাঙড়ের এক গৃহবধূ সানুরা বিবি বলেন, “আমাদের বাড়িতে কেউ লেখাপড়া জানে না। ২০০ টাকা দিয়ে অনলাইন সেন্টার থেকে ভোটার তালিকা প্রিন্ট করিয়েছি। এখন কী ভাবে ফর্ম পূরণ করব বুঝতে পারছি না।” তাঁর মতো অসংখ্য মানুষ ফর্ম পূরণের জন্য দিনভর সাইবার ক্যাফে ও ফটোকপির দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।
ভাঙড়ের এক সাইবার ক্যাফের মালিক তাঞ্জুরা বিবি অবশ্য বলেন, “আমরা অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছি না। সবাই ভোটার তালিকা প্রিন্ট করাতে আসছেন। ন্যায্য মূল্যেই করে দিচ্ছি।” অন্য দিকে, স্থানীয় এক ছাপাখানার মালিক রাজেশ মোল্লা বলেন, “এসআইআর-এর কারণে ফর্ম ছাপার কাজ পাওয়ায় ব্যবসায় কিছুটা জোয়ার এসেছে।”
ভাঙড়-২ বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ফর্ম পূরণের জন্য অনলাইন সেন্টারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ব্লক অফিসে হেল্পডেস্ক চালু আছে, যেখানে ভোটারেরা বিনামূল্যে সহায়তা পাচ্ছেন। বিএলওদের কাছেও প্রয়োজনীয় ভোটার তালিকা রয়েছে। চাইলে তাঁদের কাছ থেকেই সহযোগিতা পাওয়া যেতে পারে।”