• কাজের খোঁজে স্থায়ী বাসিন্দা, চিন্তা এসআইআর
    আনন্দবাজার | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ওঁরা এসেছিলেন চন্দ্রকোনা রোডে। কেউ দু’দশক, কেউ দেড় দশক আগে। ধীরে ধীরে এখানেই স্থায়ী হয়ে গিয়েছেন। অনেকে সংসারও করেছেন। এসআইআর আবহে ছন্দ কেটেছে তাঁদের জীবনে। এখন দিনের অনেকটা সময় যাচ্ছে নথি খুঁজতেই।

    স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে থাকেন গ্যারেজের কর্মী সুরেশ সাউ। সুরেশ দু'দশক আগে বিহার থেকে কাজের খোঁজে চন্দ্রকোনা রোডে এসেছিলেন। এখানেই থেকে গিয়েছেন। হঠাৎ করে চিন্তার মেঘ তাঁর পরিবারে। গত দু'দিন ধরে কাজেও যেতে পারছেন না। কেন? বছর চল্লিশের সুরেশের উত্তর, "এসআইআরের জন্য নথি জোগাড় করতেই তো দিন চলে যাচ্ছে। দেশ বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ নেই। বাবা নেই, মা থাকেন আর এক ভাইয়ের কাছে। তাঁরা কোথায় থাকেন তাও জানি না। ২০০২ সালে বাবা-মায়ের নাম ভোটার তালিকায় ছিল কি না বুঝতে পারছি না।’’ ট্রাক চালক বিজয় সিংহ ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছিলেন। অবিবাহিত বিজয় বছর দশেক ধরে চন্দ্রকোনা রোডে আছেন। তাঁর বাবা-মা ঝাড়খণ্ডের ভোটার। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম খোঁজার চেষ্টা করছেন বিজয়। বলছেন, "পঞ্চায়ত থেকে এখানকার স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট নিয়ে এসআইআরের ফর্মের সঙ্গে জমা দেব। তার পর শুনানিতে ডাকলে যাব।"
  • Link to this news (আনন্দবাজার)