কাঁচা পাতা তুলে বিক্রি করতে পারলেন না ক্রান্তি ব্লকের সুবর্ণপুর চা বাগানের শ্রমিকেরা। মঙ্গলবারের মধ্যে বাগান না-খুললে বাগান থেকে কাঁচা চা পাতা তুলে বিক্রি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই মতো মঙ্গলবার বাগানের শতাধিক শ্রমিক ৫ নম্বর সেকশন থেকে প্রায় আড়াই কুইন্টাল চা পাতা তোলেন। এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী চা পাতা কিনতে রাজিও হয়েছিলেন। পরে তাঁরা বেঁকে বসেন। নিরুপায় হয়ে চা পাতা তাঁরা বাগানের পাতা ওজন ঘরের মধ্যে জমা করে রেখে দেন।
এ বিষয়ে বাগানের ম্যানেজার রিয়াজ চৌধুরী বলেন, ‘‘শ্রমিকেরা এ দিন বেআইনি ভাবে বাগান থেকে কাঁচা চা পাতা তুলেছেন। এই ধরনের প্রবণতা চলতে থাকলে চা শিল্প অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে।’’ বিষয়টি ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানানো হয়েছে।যদিও ফাঁড়ির এক আধিকারিক জানান, ‘‘বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।’’
অন্য দিকে, পুজোর আগে সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বোনাস না-দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় বানারহাটের রেড ব্যাঙ্ক চা বাগান ও তার ডিভিশন সুরেন্দ্রনগর। শেষমেষ আগামী ১৭ নভেম্বর খুলতে চলেছে এই চা বাগান। বাগান বন্ধ থাকাকালীন চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাস মিটিয়ে দেওয়া হয়। তবে এখনও শ্রমিকদের কিছু পারিশ্রমিক বকেয়া রয়েছে। চা বাগানের মালিক পরিবর্তন করে নতুন মালিককে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব। শ্রমিকেরা আশাবাদী এ বার নিয়ম মেনে চলবে বাগান। চা বাগানের শ্রমিক দীপাঞ্জলি থাপা বলেন, ‘‘শুনতে পারছি ১৭ তারিখ থেকে বাগান খুলে যাবে। এই খবরে আমরা খুব খুশি, আমরা চাই এই বাগান যাতে খুব সুন্দর ভাবে আগামীতে চলতে থাকে।’’