• ঝুলন-শীর্ষেন্দুকে ডি লিট বিশ্ববিদ্যালয়ের
    আনন্দবাজার | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • বাইশ গজে তাঁর দুরন্ত পারফর্ম্যান্স বার বার বাংলার মেয়েদের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে সাহস জুগিয়েছে। তার পরবর্তী প্রজন্ম শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষ সম্প্রতি প্রমাণ করেছেন, বাংলার মেয়েরাও বিশ্বকাপ জয়ের স্পর্ধা দেখাতে পারেন। বাংলার মেয়েদের সেই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন সদস্য ঝুলন গোস্বামীকে ডি লিট সম্মান জানাল বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপাচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ঝুলনের হাতে ওই সম্মান তুলে দেন।

    একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় এ বার ডি লিট সম্মান দিল সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, আবুল বাশার, অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার এবং গ্রামোন্নয়নের কাজের জন্য টি আর কেশবনকে। ডিএসসি সম্মান পেলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানী অরুণকুমারেন্দু সিংহ, তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার শিক্ষক-গবেষক অশোক সেন ও ইসরোর বিজ্ঞানী ঋতু কারিধাল। তবে শীর্ষেন্দু, কেশবন, অশোক ও ঋতু অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি। তাঁদের হয়ে রাজ্যপালের হাত থেকে স্মারক গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে তাঁদের কাছে সে সব পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    পরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার উন্নতির স্বার্থে সবাইকে এক জোট হয়ে কাজের বার্তা দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে কেবল দেশ নয়, বিশ্বের কাছে নিজেকে তুলে ধরার ক্ষমতা বাংলার রয়েছে। আমাদের দুর্দান্ত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, উন্নত মানের শিক্ষক, ঐতিহ্য ও সম্ভাবনাময় ছাত্রছাত্রী রয়েছে। দরকার কেবল একজোট হয়ে কাজ করার। শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, মানুষজন এবং রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধিরা— সবাইকে এক জোট হয়ে কাজ করতে হবে শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করতে।’’

    এর আগে বহু বার বাঁকুড়ার ছেলেমেয়েদের মেধার প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। এ দিন রাজ্যপালও তারিফ করেন। তিনি জানান, একবার নিউ ইর্য়ক থেকে দিল্লি ফেরার পথে এক বিমান সেবিকা যিনি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, তাঁর উপস্থিত-বুদ্ধির পরিচয় পেয়ে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন।

    বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যাঁরা এখান থেকে স্নাতকোত্তর ও স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েছেন, এ দিন তাঁদের শংসাপত্র দেওয়া হয়। স্নাতকোত্তরে যাঁরা প্রথম শ্রেণিতে যাঁরা প্রথম হয়েছেন, তাঁদের স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। ১৩২ জনকে গবেষণার জন্য পিইউচডিসম্মান দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রূপকুমার বর্মণ, রেজিস্ট্রারসৌরভ দত্ত প্রমুখ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)