নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: এগজিট পোলের ফলাফলে বিজেপি যে খুব উল্লসিত এবং নিশ্চিন্ত এমন নয়। কারণ কমবেশি সব এগজিট পোলই একদিকে যেমন বলছে, বিহারে এনডিএ সরকার গঠন করবে, তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে নীতীশ কুমারের দলের আসন সংখ্যা বাড়বে। যদি এগজিট পোলের আঁচ প্রকৃত ফলাফলের সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে সেটি হবে নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির পক্ষে বিপজ্জনক বার্তা। কারণ, প্রমাণিত হবে মোদি ম্যাজিক অথবা বিজেপির অনুপ্রবেশ ইস্যু কাজ করেনি বিহারে। বরং নীতীশ কুমারের উপর আস্থাই চালিকাশক্তি। আর বিহারেও সরকার গঠন ও রক্ষার ক্ষেত্রে নীতীশ কুমারের উপরই নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে আবার। বিগত ২০ বছর ধরে নীতীশ ছাড়া কোনও দল সরকার গঠন করতে পারেনি। সরকার ধরেও রাখতে পারেনি। সেই প্রবণতা এবারও কি থেকে যাবে? এদিকে মঙ্গলবার একের পর এক বুথফেরত সমীক্ষা যেখানে এনডিএ জোটকে অনেক এগিয়ে রেখে নিশ্চিত পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে যে, এনডিএ আবার সরকার গড়ছে, সেখানে বুধবার অন্যতম একটি সমীক্ষক সংস্থা চিন্তা বাড়িয়েছে বিজেপি জোটের। অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এনডিএ সামান্য আসন প্রাপ্তির নিরিখে এগিয়ে থাকলেও তেজস্বী যাদব ও রাহুল গান্ধীর জোট তেমন পিছিয়ে নেই। বরং ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে। এনডিএ পেতে পারে ১২১ থেকে ১৪১ আসন। আর ইন্ডিয়া জোটের সম্ভাবনা ৯৮ থেকে ১১৮ আসন। এই পূর্বাভাসের মধ্যে ত্রিশঙ্কুর একটি সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে। এই সমীক্ষার অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ বিশ্লেষণ হল, প্রথম বারের ভোটার, যুবা ভোটার এবং কর্মহীন ভোটার শ্রেণি এনডিএ জোটকে ভোট দেয়নি। এমনকি উচ্চশিক্ষিতদের ভোটও পায়নি এনডিএ। পক্ষান্তরে, টুডেস চাণক্য কোনও সংশয় রাখেনি তাদের সমীক্ষায়। তারা বলেছে, এনডিএ জোট পেতে পারে ১৬০ আসন। তেজস্বী যাদবের জোট ৭৭ আসনে আটকে যাবে বলে এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে।