বিস্ফোরণে সুরক্ষায় ব্যর্থতা: সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা দাবি তৃণমূলের
বর্তমান | ১৩ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সরকারের প্রায় নাকের ডগায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও তা নিয়ে কোনও আলোচনা করতে চায় না বিজেপি। বুধবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকেই তার আভাস মিলেছে। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেখানে লালকেল্লার সামনের বিস্ফোরণে সরকারের জবাবদিহি চাইবেই বিরোধীরা। তবে সরকার বিষয়টি নিয়ে বেশি হাইলাইট করতে নারাজ। কারণ, এতে সরকারেরই ব্যর্থতা সামনে চলে আসবে। বিশেষত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে বিরোধীরাও চাপ দেবে। তারই আভাস মিলল বুধবার স্বরাষ্ট্র সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে।
দিল্লিতে বিস্ফোরণে নিরাপত্তার ব্যর্থতা নিয়ে সরব তৃণমূল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ইস্তফাও চেয়েছে তারা। বুধবার ছিল সংসদীয় কমিটির বৈঠক। তাই বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণএবং সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রাধামোহন দাস আগরওয়ালকে চিঠি দেন কমিটির সদস্য তৃণমূলের কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কিন্তু পত্রপাঠ বিষয়টি খারিজ করেন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে আলোচনা করা যাবে না। এ নিয়ে কোনও চর্চা হবে না। আজকের আলোচনার বিষয় অন্য। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা। পালটা সরব হন কাকলিদেবীও। সূত্রের খবর, বৈঠকে তিনি বলেন, রাজধানীর বুকে লালকেল্লার মতো হাই সিকিওরিটি এলাকায় এত বড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল, বেঘোরো প্রাণ হারালেন কয়েকজন। তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে না তো কোথায় হবে?
যে বিষয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে, সেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তথা বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় আর্থিক সাহায্যের প্রশ্নেও সরব হয়েছে তৃণমূল। বাংলায় গত ৪ অক্টোবর পাহাড়ে ধস নামায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়ে চিঠিও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির দুই সদস্য। অথচ এখনও পর্যন্ত রাজ্যকে একটি পয়সাও দেওয়া হয়নি। দেওয়া হবে কি না, তাও স্পষ্ট করা হয়নি।
তাই এদিন বৈঠকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা অথরিটির উচ্চপদস্থ আধিকারিক সহ সরকারি অফিসারদের সামনে পেয়ে সওয়াল করে তৃণমূল। সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ডের যোশিমঠ বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়েছে ১৬৫৮.১৭ কোটি টাকা। সিকিম পেয়েছে ৫৫৫.৭০ কোটি। হিমাচলের বন্যা, ধসের ক্ষতিতে পেয়েছে ২০০৬.৪০ কোটি। কেরলের ওয়েনাড়ের ক্ষতিতে মিলেছে ২৬০.৫৬ কোটি। অসমের বন্যার জন্য দেওয়া হয়েছে ১২৭০.৭৯ কোটি টাকা। অথচ বাংলার বেলায় শূন্য। কেন? প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। জবাব দেয়নি সরকার।