আল-ফালাহের আরও এক ডাক্তার নিখোঁজ, দেশবিরোধী কাজের জন্য শ্রীনগরের হাসপাতাল থেকে বহিষ্কৃত
বর্তমান | ১৩ নভেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় যোগ মিলেছে জঙ্গিদের নতুন গ্রুপের। যাকে বলা হচ্ছে মেডিকেল মডিউল। ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে চার চিকিত্সক। দিল্লিতে যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, সেটিও এক ডাক্তারই চালাচ্ছিল বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাচক্রে এই চিকিত্সকদের বেশিরভাগই ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। এবার কাশ্মীরের আরও এক চিকিত্সকের গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে তদন্তকারীদের। নিসার-উল-হাসান নামে ওই চিকিত্সক দিল্লি বিস্ফোরণের পরই নিখোঁজ। চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, নিসারও আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়েই মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক। তাঁর এভাবে হঠাত্ গা-ঢাকা দেওয়ার বিষয়টি তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে। অভিযুক্ত ডাক্তারদের সঙ্গে নিসারের যোগাযোগ বা বিস্ফোরণের পিছনেও তাঁর কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিসার আগে শ্রীনগরের শ্রীমহারাজা হরি সিং (এসএমএইচএস) সরকারি হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু ২০২৩ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠে। বিভাগীয় তদন্তে নিসারের দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। এরপর কয়েক মাসের মধ্যেই নিসার আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।
বিস্ফোরণের তদন্তে বুধবার কাশ্মীরের বেশ কয়েকজন ডাক্তারকে জেরা করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন কুলগাঁওয়ের বাসিন্দা ডাঃ তাজুমল আহমেদ মালিক। তিনিও এসএমএইচএস হাসপাতালের চিকিত্সক হিসেবে কর্মরত। তাজমুলের বাবা মহম্মদ আয়ুব মালিক জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জেরা করেন তদন্তকারীরা। তাজমুলের ফোনও সিজ করা হয়েছে। আয়ুবের দাবি, তাঁর ছেলে কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নয়। যদিও তদন্তকারীরা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি আরও দাবি করেছেন, একটি কোল্ড স্টোরেজের মালিকানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাজমুলকে জেরা করা হয়।
একের পর এক চিকিত্সকের নাম জড়ানোয় আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। ফরিদাবাদের এই প্রতিষ্ঠানের এতজন চিকিত্সক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও কেন কারও কিছু সন্দেহ হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি একটি বিবৃতি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য অধ্যাপক (চিকিৎসক) ভূপীন্দর কাউর আনন্দ ওই বিবৃতিতে বলেছেন, (দিল্লি বিস্ফোরণের) দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় আমরা ব্যথিত। ঘটনার নিন্দা করছি ও গোটা দেশের পাশে আছি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত দুই চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল ও শাহিন শাহিদের সঙ্গে শুধুমাত্র পেশাদারি সম্পর্ক ছাড়া আমাদের আর অন্য কোনও যোগ নেই। তদন্তের কাজে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।