• তুরস্কে জয়েশ জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করেছিল ধৃত মুজাম্মিল ও আদিল, টেলিগ্রাম গ্রুপে মগজ ধোলাই
    বর্তমান | ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: দু’টি টেলিগ্রাম গ্রুপ এবং তুরস্ক সফর। দিল্লি বিস্ফোরণে ষড়যন্ত্রের উৎস সন্ধানে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসছে তদন্তকারীদের। তাঁরা জানতে পেরেছেন, সন্দেহভাজন তিন চিকিৎসকের মধ্যে দু’জন গিয়েছিল তুরস্কে। সেখানেই তাদের সাক্ষাৎ হয়েছিল জয়েশ-ই-মহম্মদের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে।

    তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সন্দেহভাজন দুই ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল ও আদিল আহমেদ যুক্ত ছিল দু’টি টেলিগ্রাম গ্রুপের সঙ্গে। একটির নাম ফারজান্দান-ই-দারুল-উলুম (দেওবন্দ)। অন্য গ্রুপটি হল উমর বিন খাত্তাব। দু’টি গ্রুপেরই নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানের এক জয়েশ-ই-মহম্মদ সদস্য। চিকিৎসকদের মগজ ধোলাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হত এই গ্রুপগুলিকে। সূত্রের খবর, চিকিৎসকের মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে জেহাদি করে তোলার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ইমাম ইরফান আহমেদ ওয়াঘা নামে সোপিয়ানের এক মৌলবির। দিল্লি বিস্ফোরণে সন্দেহভাজন আত্মঘাতী জঙ্গি চিকিৎসক উমর নবির সঙ্গে ওই মৌলবির পরিচয় হয়েছিল এই টেলিগ্রাম গ্রুপেই। আলোচনার প্রাথমিক বিষয় ছিল ‘কাশ্মীরের স্বাধীনতা’। পরবর্তীকালে আলোচনার পরিধি বিস্তৃত হয়ে ‘বিশ্ব জেহাদ  ও প্রতিশোধ’ বিষয়ে কথাবার্তা শুরু হয়।

    তদন্তকারীদের অনুমান, মেডিকেল মডিউল গড়ে ওঠার নেপথ্যে টর্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছে সন্দেহভাজন চিকিৎসকদের তুরস্ক সফর। কারণ, সেখানেই তাদের সঙ্গে জয়েশ হ্যান্ডলারদের সাক্ষাৎ হয়েছিল। এই চিকিৎসকদের পাসপোর্টে তুরস্কের স্ট্যাম্প পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তুরস্ক সফর থেকে ফেরার পরই অভিযুক্ত চিকিৎসকরা গোটা ভারতে তাদের গ্রুপের গতিবিধির বিস্তার ঘটিয়েছিল। চিকিৎসক মুজাম্মিল যোগ দেয় ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিকেল কলেজে। আদিল তার কাজকর্ম চালাতে থাকে সাহারানপুর থেকে। গ্রুপের অন্য সদস্যরা বিভিন্ন রাজ্য থেকে নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের কাজ চালাতে থাকে। সূত্রের খবর, এই মডিউলের সঙ্গে জড়িত সব সদস্যকে চিহ্নিত করার কাজে নেমে পড়েছেন তদন্তকারীরা।

    সন্দেহভাজন আত্মঘাতী জঙ্গি চিকিৎসর উমর এবং ধৃত দুই ডাক্তার মুজাম্মিল ও শাহিন একটি লজিস্টিক নেটওয়ার্কের সদস্য ছিল। এই নেটওয়ার্কে ছিল সব মলিয়ে ৯ থেকে ১০ জন সদস্য। তাদের মধ্যে ৫ থেকে ৬ জনই পেশায় চিকিৎসক। অভিযুক্ত চিকিৎসকরা নিজেদের পেশাদারি পরিচয়ের অপব্যবহার করে বিস্ফোরক সংগ্রহ ও মজুত করা সহ বিভিন্ন কাজ করেছিল।
  • Link to this news (বর্তমান)