অছিপুর রুটে বাড়লেও বুড়ুলের পথে দিনে একটিই সরকারি বাস, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা
বর্তমান | ১৩ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, বজবজ: এক বছর আগে পুজালির অছিপুর থেকে বিবাদি বাগ পর্যন্ত সকালের দিকে দু’টি সরকারি বাস চালু হয়েছিল। সন্ধ্যার সময় ফিরতি পথে ওই দু’টি বাস বিবাদি বাগ থেকে ছেড়ে অছিপুরে আসত। যাত্রীদের দাবি মেনে এখন আরও দু’টি বাস বাড়িয়েছে পরিবহণ দপ্তর। ফলে শুধু অছিপুর নয়, বজবজ ও মহেশতলার বাসিন্দাদেরও সকাল-সন্ধ্যা কলকাতায় যাতায়াত করতে সুবিধা হয়েছে। পাশাপাশি সাতগাছিয়া কেন্দ্রের বুড়ুল থেকেও দু’বছর আগে একটি সরকারি বাস ধর্মতলা পর্যন্ত চালু হয়েছিল। এই রুটে সকাল-সন্ধ্যায় একটি বাস যেত এবং ফিরত। অছিপুর রুটে বাস বাড়লেও গত দু’বছরে বুড়ুলের রাস্তায় একটি বাসও বাড়েনি। এ নিয়ে সাতগাছিয়ার একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বজবজ ২ নম্বর ব্লকের মানুষ অসন্তুষ্ট।
বুড়ুলের নিত্যযাত্রীদের কথায়, অছিপুরে বাস বেড়েছে, এটা আনন্দের বিষয়। কিন্তু আমাদের সাতগাছিয়ার মানুষের কথাও পরিবহণ দপ্তরের ভাবা উচিত ছিল। কারণ এদিক থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ কাজের জন্য কলকাতায় যান। অমল মণ্ডল, সত্য বিশ্বাস, বিপুল নাইয়ার মতো নিত্যযাত্রীদের কথায়, এই রুটে সারাদিনে আর কোনও সরকারি বাস নেই, যা ধর্মতলা পর্যন্ত যাতায়াত করে। ফলে আমাদের যাতায়াত করতে খুব দুর্ভোগ হয়। তিন-চারবার অটো বদল করে যাতায়াত করতে হয়। তাতে টাকা ও সময় দু’টিই বেশি লাগে। এই রুটে মাত্র একটি বাস চলায় একাধিক গ্রামের কয়েকশো মানুষকে মুখিয়ে থাকতে হয়। ফলে প্রতিটি স্টপেজে প্রচুর মহিলা, পুরুষ থেকে প্রবীণ যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়। প্রশ্ন হল, একটি বাসে কতজন লোক ধরে? তাই ঠেলাঠেলি ও ধস্তাধস্তি চলে বাসে ওঠার জন্য। এই কারণে বুড়ুল থেকে বাখরাহাট যাওয়ার পর বাস বাদুরঝোলা হয়ে যায়। অনেকেই উঠতে পারেন না। যাত্রীদের অভিযোগ, এই চাপাচাপির ফলে বাসের ভিতর মহিলাদের কোনও সম্মান থাকে না। মহিলা যাত্রীরাও তা স্বীকার করেছেন। কিন্তু কর্মস্থলে যাওয়া ও বাড়ি ফেরার জন্য সব জেনেও বাধ্য হয়ে এই বাসে উঠতে হয় মহিলাদের।
বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বাসের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর কথায়, বিষয়টি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলা হয়েছে। পরিবহণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল বলেন, পর্যাপ্ত বাস নেই। তবে আশা করছি, ডিসেম্বরের শেষদিকে নতুন বাস এসে যাবে। তখন বুড়ুলের দিকেও বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।