• উত্তর ২৪ পরগনায় ‘বাংলার বাড়ি’, দ্বিতীয় দফার টাকা পেয়েও বাড়ির কাজ সম্পূর্ণই করেননি ৩৪ হাজার
    বর্তমান | ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: চলতি বছর মে মাসে দেওয়া হয়েছে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের দ্বিতীয় দফার টাকা। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে ছ’মাসেরও বেশি সময়। কিন্তু এখনও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করার পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক। প্রায় ৮২ হাজার উপভোক্তার মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করেছেন মাত্র ৪৭ হাজার। অর্থাৎ ৫৮ শতাংশ উপভোক্তা দ্বিতীয় দফার টাকা পাওয়ার পর বাড়ি তৈরি করেছেন। এই অবস্থায় কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। দ্বিতীয় দফার বাড়ি তৈরি টাকা পাওয়ার পরেও যেসব উপভোক্তা এখনও কাজ সম্পূর্ণ করেননি, তাদের নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।

    গত বছর ডিসেম্বরে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৮১ হাজার ৯২০ জন উপভোক্তা প্রথম দফার ৬০ হাজার টাকা পেয়েছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী লিনটেল বা লিংটন পর্যন্ত কাজ হলে দ্বিতীয় দফার ৬০ হাজার টাকা মিলবে। কিন্তু এই জেলায় সেক্ষেত্রেও উপভোক্তাদের গড়িমসি দেখা গিয়েছিল। তখনকার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদীক কড়া নির্দেশে অনেকে সেই কাজ শেষ করেন। তারপর দ্বিতীয় দফার টাকা পেয়েছেন উপভোক্তারা। জেলা প্রশাসনের হিসেব বলছে, মোট উপভোক্তার মধ্যে ৪৭ হাজার ৫৩৬ জন বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করেছেন। বাকি রয়েছে ৩৪ হাজার ৩৮৪ জনের। পারফরম্যান্সের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে হাবড়া ১ নং ব্লক। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বারাকপুর ২ নম্বর ব্লক। তবে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা বাগদা ব্লকের। এই ব্লকে মাত্র ৩৬ শতাংশ উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করেছেন। কমবেশি একই অবস্থা সন্দেশখালি ২, হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকেরও। এখানে অর্ধেক উপভোক্তা দ্বিতীয় দফার টাকা পাওয়ার পরেও বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেননি। 

    সূত্রের খবর, সম্প্রতি ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে। তা খতিয়ে দেখার পর কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করেছে দপ্তর। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপভোক্তাদের নোটিশ পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেন এখনও উপভোক্তারা দ্বিতীয় দফার টাকা পাওয়ার পরেও বাড়ি তৈরি করেননি, সেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে ব্লক প্রশাসনের তরফে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘উপভোক্তাদের অনেকে পরিযায়ী শ্রমিক। অনেকে আবার ইচ্ছে করে কাজে গড়িমসি করছেন। নোটিশ পাঠিয়ে, ফোন করে সতর্ক করা হচ্ছে। বলে দেওয়া হচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতেই হবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)