• পার্থের মুক্তিতে আশায় ‘অপা’র নিখিল-ঝর্ণা
    আনন্দবাজার | ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • প্রায় সাড়ে তিন বছর পরে শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়ে মঙ্গলবার বাড়ি ফিরেছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সে খবর শান্তিনিকেতনে পৌঁছতেই খুশির সীমা নেই ‘অপা’ বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা নিখিল ও ঝর্ণা দাসের। সূত্রের খবর, ২০১২ সালে শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙা এলাকায় প্রায় সাত কাঠা জায়গায় এই বাড়িটি কেনেন পার্থ ও তাঁর ‘বান্ধবী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ২০২০ সালে অর্পিতা সম্পত্তিটি নিজের নামে রেকর্ড করান। এখনও নিখিল-ঝর্ণার সঙ্গে পার্থর যোগাযোগ হয়নি। তবে বুধবার ‘অপা’ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে শুরু করেছেন ওই দম্পতি। যদিও শান্তিনিকেতনে অর্পিতার ‘ইচ্ছা’ নামে অতিথিশালা এবং ‘তিতলি’, ‘লাবণ্য’ নামের দু’টি বাড়ি বন্ধই রয়েছে।

    বাড়ির বাইরে ফলকে নাম লেখা ‘অপা’। অনেকেরই ধারণা, অর্পিতা ও পার্থর নামের আদ্যক্ষর মিলিয়েই বাড়ির নামকরণ করা হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ বাড়িতে মাঝেমধ্যেই আসতেন দু’জনে। ২০১৬-’১৭ সাল থেকে বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিখিল ও ঝর্ণা। ওই বাড়ির চত্বরেই ছোট ঘরে তাঁরা থাকেন।

    ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি) পার্থ ও অর্পিতাকে গ্রেফতারের পরে ছবিটা বদলে যায়। তাঁদের নামে, বেনামে একাধিক বাড়ি, জমি সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের আতসকাচের নীচে ছিল ‘অপা’ও। ইডি এ বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছে। বাড়িটি নিয়ে চর্চা শুরু হতে এক সময় শান্তিনিকেতনে আসা পর্যটকদের কাছে ‘অপা’ অন্যতম দ্রষ্টব্য হয়ে ওঠে।

    কিন্তু সমস্যায় পড়েন নিখিল ও ঝর্ণা। জানান, গত সাড়ে তিন বছর কষ্টে দিন কেটেছে তাঁদের। কখনও দিনমজুরি, কখনও অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালিয়েছেন। বিদ্যুতের বিল মেটাতে না পারায় সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। পরে, ধার করে বিদ্যুতের বিল মেটান বলে দম্পতির দাবি। ঝর্ণা এ দিন বলেন, “এত দিন কেউ আমাদের খোঁজ রাখেনি। উনি (পার্থ) ফিরেছেন জেনে চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। আশা করছি, এ বার কিছুটা আর্থিক সুরাহা হবে।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)