স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) পরীক্ষায় অভিজ্ঞতার নিরিখে ১০ নম্বর সংক্রান্ত মামলাগুলির আপাতত কোনও নিষ্পত্তি হল না কলকাতা হাই কোর্টে। বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের পর্যবেক্ষণ, ২৪ ও ২৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি আছে। হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে কি না, তা শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করা হবে। তাই ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলাগুলি মুলতুবি থাকবে।
এ দিন এজলাসে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ তাদের আইনজীবীর সওয়ালের সময় হাততালি দিয়ে ওঠেন। তা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। তিনি জানান যে এজলাসের মধ্যে এই আচরণ বরদাস্ত করা যায় না। ওই চাকরিহারাদের তিনি এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম বার নিয়োগ পরীক্ষায় বসা প্রার্থীদের (ফ্রেশার) আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য একটি ফেসবুক পোস্ট দেখিয়ে অভিযোগ করেন, মামলা চলাকালীন আদালতের উপরে চাপ বাড়াতে চাকরিহারাদের একাংশকে এজলাসে ভিড় জমাতে বলা হয়েছিল।
এ দিন শুনানি মুলতুবি হওয়ার আগে এসএসসি এবং চাকরিহারা শিক্ষকদের আইনজীবীরা দাবি করেন, এর আগে এই নিয়মের বিরোধিতা করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এবং সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হলেও আদালত হস্তক্ষেপ করেনি। অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালুর করার প্রশাসনিক এবং আইনি ক্ষমতা রয়েছে রাজ্য সরকারের আছে। তাঁদের আরও দাবি, একই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে ২৪ ও ২৬ নভেম্বর শুনানি আছে।
মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিম, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং শামিম আহমেদ বলেন, সুপ্রিম কোর্ট ‘অযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত না-হওয়া শিক্ষকদের চাকরির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বলেছিল যে চাকরির অধিকার ছাড়া অন্য কোনও সুবিধা তাঁরা পাবেন না। তাই অভিজ্ঞতার নম্বর দেওয়া যায় না। বিচারপতি সিংহের পর্যবেক্ষণ, ‘‘যতদূর বুঝেছি, নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের নিয়ম না কি ২০২৫ সালের নতুন নিয়ম, কাকে মান্যতা দেওয়া হবে তা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। পৃথক কোনও নিয়মের বিরোধিতা করা হয়নি।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট থেকে এক লাইনের নির্দেশ নিয়ে আসুন যে অভিজ্ঞতার নিরিখে ১০ নম্বর দেওয়ার নিয়মের বিরুদ্ধে মামলা হাই কোর্ট শুনতে পারবে। তবে শুনানি হবে।’’