কলকাতার এক নামী ব্যবসায়ীর সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ের অফিসে ফের তল্লাশি অভিযান চালালেন রাজ্য পুলিশের সাইবার শাখার তদন্তকারীরা। বুধবারের এই অভিযানে ওই অফিস থেকে বিভিন্ন নথি এবং সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছেন তাঁরা। তবে, কী কী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সে সম্পর্কে রাত পর্যন্ত সরকারি ভাবে কিছু জানাননি সাইবার শাখার তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, রাত পর্যন্ত ওই তল্লাশি চলে।
প্রসঙ্গত, দেশ জুড়ে বিভিন্ন অনলাইন প্রতারণার টাকা ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ভিত্তিতে গত ৬ নভেম্বর ওই ব্যবসায়ীর বালিগঞ্জের বাড়িতে এবং পার্ক স্ট্রিটের একটি অফিসে হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ছ’টি মোবাইল, একটি ম্যাকবুক, ১০টি ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক ও সার্ভার, সাতটি ওয়াইফাই রাউটার, প্রচুর প্যান কার্ড, চেক বই, পাসবই, ১২টি পেন ড্রাইভ ও সিম কার্ড। উদ্ধার হওয়া সিম কার্ডের মধ্যে একটি ছিল দুবাইয়ের, যা ওই ব্যবসায়ী ব্যবহার করতেন বলে গোয়েন্দাদের দাবি। তবে, এই প্রতারণার অভিযোগে ব্যবসায়ীর পরিবারের কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে বুধবার রাত পর্যন্ত কিছু বলেননি গোয়েন্দারা।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, শুধু ভুয়ো লগ্নি অ্যাপে নয়, ডিজিটাল গ্রেফতারি-সহ একাধিক সাইবার প্রতারণার টাকা ঢুকেছিল ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। মূলত ব্যবসায়ীর পরিবারের মালিকানাধীন ১৪৮টি শেল কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ওই টাকা ঢুকেছিল, যার অঙ্ক প্রায় ৩১৭ কোটি বলে দাবি গোয়েন্দাদের। পাশাপাশি, ন্যাশনাল ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে ১৩৭৯টি প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছিল। অভিযোগকারীদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ছিলেন কয়েকশো।
তদন্তকারীদের আরও দাবি, ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে সাইবার প্রতারণায় যুক্ত দিল্লির এক বাসিন্দার যোগসূত্র মিলেছে। সেই ব্যক্তিকে কলকাতা পুলিশ আগেও প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করেছিল। তাঁর সন্ধান পেলেই চক্রের বাকিদের খোঁজ মিলবে বলে সূত্রের দাবি।