অয়ন ঘোষাল: মরশুমের এখনও পর্যন্ত শীতলতম দিন। কলকাতার পারদ ১৭.১ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের চেয়ে সাড়ে ৩ ডিগ্রি কম। কাল দিনের পারদ ২৮ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের চেয়ে আড়াই ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে মাত্র ৩৯ শতাংশ। শুষ্ক শীতের পরশ রাজ্যজুড়ে।
রাজধানী দিল্লি, ছত্তীসগঢ়, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি। আপাতত অবাধ শীতল উত্তুরে হাওয়ার দাপট রাজ্যজুড়ে। আগামী অন্ততঃ ৬ দিন এরকমই থাকবে আবহাওয়া। পশ্চিমের জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রির ঘরে। শীতের আমেজ বহাল থাকবে চলতি উইকেন্ডেও।
শীতের এই আমেজ বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে ২১ নভেম্বরের পর থেকে। বাতাসে বৃদ্ধি পাবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। ২৩ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণাবর্ত। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় শক্তি বাড়িয়ে যা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে কিছু আন্তর্জাতিক আবহাওয়া গবেষণা মডেল দাবি করেছে। এই সিস্টেম ২৫ নভেম্বর একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে একাধিক মডেলের দাবি। তার সরাসরি প্রভাব যদি বাংলায় নাও পড়ে তাহলেও মেঘলা আকাশ এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতার জেরে বাংলায় সাময়িকভাবে নষ্ট হতে পারে শীতের আমেজ। এই সিস্টেম ডিসেম্বরের ৩ তারিখ সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ার পর রাজ্যে শীতের কামব্যাক ঘটতে পারে। যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতর এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনো অ্যালার্ট বা সতর্কতা জারি করেনি।
অন্তত আগামী ৭ দিন দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া। তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন নেই আগামী চার পাঁচ দিনে। স্বাভাবিকের তুলনায় দু থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে থাকবে তাপমাত্রা। উত্তর পশ্চিম ভারতের শীতল হাওয়ায় শীতের আমেজ বাড়বে। রাতে শিশির এবং খুব সকালে দু এক জায়গায় হালকা কুয়াশার সম্ভাবনা।
উত্তরবঙ্গেও আপাতত শুষ্ক আবহাওয়া। বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিকের তুলনায় তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে থাকবে। আগামী ৪ থেকে ৫ দিনে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন নেই। দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায় রাতের পারদ ৮ ডিগ্রির সামান্য নিচে।
চরম শৈত্য প্রবাহ মধ্যপ্রদেশে। শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি রাজধানী দিল্লিতে। হরিয়ানা ছত্তীসগঢ় ও রাজস্থানে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি।