• দিল্লি বিস্ফোরণ জড়িয়ে গেল তবলিঘি জামাতের নাম, ভাইরাল ফুটেজে চাঞ্চল্য
    প্রতিদিন | ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির গাড়িবোমা বিস্ফোরণে এবার জড়িয়ে গেল তবলিঘি জামাতের নামও! পুলিশ সূত্রে দাবি, বিস্ফোরণের আগে যে মসজিদে ঘাতক গাড়ির চালক উমর উন-নবি গিয়েছিল, সেই মসজিদে আসলে তবলিঘি জামাতের কার্যকলাপ চলে। সেখান থেকেই কি মগজ ধোলাই হয়েছে আল ফালহা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই চিকিৎসকের? উমর কি তবলিঘি জামাতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত? সে প্রশ্নও উঠছে।

    আসলে বিস্ফোরণের আগে দিল্লির রামলীলা ময়দানের কাছের ফইজ ই-ইলাহি মসজিদে গিয়েছিল উমর। তুর্কমান গেটের উলটোদিকের ওই মসজিদে প্রায় মিনিট দশেক ছিল সে। সিসিটিভি ফুটেজে সেই ছবি ধরাও পড়েছে। ঘটনাচক্রে ওই ফইজ ই-ইলাহি মসজিদই এখন দিল্লির বুকে তবলিঘি জামাতের মূল কেন্দ্রস্থল। আগে নিজামউদ্দিন মার্কাজ থেকে কার্যকলাপ চালাত তবলিঘি জামাত। কিন্তু করোনার পর মার্কাজ থেকে মূল কেন্দ্র সরিয়ে ওই ফইজ ই-ইলাহি মসজিদে নিয়ে গিয়েছেন সংগঠনের কর্তারা। বিস্ফোরণের আগে সেই মসজিদেই উমরের যাওয়াটা কি শুধুই কাকতালীয়? নাকি উমর সরাসরি তবলিঘি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত? সেটা যদি হয় তাহলে তবলিঘি জামাতকেও সন্দেহের আওতায় আনতে হয়। যদিও এ নিয়ে সরকারিভাবে পুলিশ বা প্রশাসন কিছুই বলছে না।

    উল্লেখ্য, করোনা মহামারী চলাকালীন দিল্লির মুখে বড়সড় ধর্মসভা বসিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল তবলিঘি জামাত। রীতিমতো করোনা জেহাদ ছড়ানোর অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে তুলেছিল হিন্দুত্ববাদীরা। পরে অবশ্য আদালত তবলিঘি সদস্যদের সেই অভিযোগ থেকে মুক্ত করেছে। দিল্লি বিস্ফোরণের পর ফের আতস কাঁচের তলায় সেই তবলিঘি জামাত।

    যদিও তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়ি বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা ছিল না। কারণ, গাড়িটি কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেনি বা কোনও ভবনে প্রবেশ করেনি, অর্থাৎ এটি কোনও আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা ছিল না। বিস্ফোরণে উমর নিহত হয়েছে। বিস্ফোরণের ধ্বংসাবশেষে পাওয়া দেহের অংশ শনাক্ত করার জন্য পুলিশ ইতিমধ্যেই তার মায়ের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাতে পুলিশ নিশ্চিত উমরই ওই হামলাকারী গাড়ির চালকের আসনে ছিল।
  • Link to this news (প্রতিদিন)