আজ কলকাতায় মরশুমের প্রথম শীতলতম দিন, একলাফে কতটা নামল তামপাত্রা?
প্রতিদিন | ১৩ নভেম্বর ২০২৫
নিরুফা খাতুন: নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই শীতের দাপট দেখা যাচ্ছে বঙ্গে। পশ্চিম ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগেই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। এবার কলকাতাতেও নামল তাপমাত্রার পারদ। এবারের শীতের মরশুমে আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতার শীতলতম দিন। এমনই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিলাস। গতকাল থেকে এক ধাক্কায় তিন ডিগ্রি পারদ পতন হল মহানগরে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নেমেছে ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিন বঙ্গে পারদের পতন দেখা যাবে। এমনই মনে করছে হাওয়া অফিস।
এবার নভেম্বরের শুরুতেই হিমেল হাওয়ার পরশ অনুভূত হতে শুরু করে বাংলায়। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ক্রমশ নামতে থাকে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পারদের পতন শুরু হয় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। একইভাবে কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলিতেও রাত বাড়লে ঠান্ডার অনুভব হতে থাকে। গত কয়েক দিন ধরেই রাত বাড়লে ঠান্ডার অনুভব বাড়ছিল। ভোরের দিকেও যথেষ্ঠ ঠান্ডা হাওয়া বইছে। কুয়াশাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে সকালে। হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, আগামী কয়েক দিনেই রাজ্যে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামবে। তাহলে কি এবার নভেম্বরেই জাঁকিয়ে শীত পড়বে বঙ্গে? ভেঙে দেবে গত কয়েক দশকের অতীতের শীতের রেকর্ড? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে।
উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতে সকালের দিকে হালকা কুয়াশার দাপট রয়েছে। পার্বত্য এলাকায় কুয়াশার পরিমাণ বেশি হতে পারে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে কুয়াশার দাপট বেশি থাকবে। আপাতত উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শুষ্ক আবহাওয়া। আগামী পাঁচ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় খুব বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করেছে। পুরুলিয়ায় এখনই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে রয়েছে। সেই তাপমাত্রা আগামী দিনে আরও নামবে। এমনই মনে করছে আবহবিদরা। বাংলার পাশাপাশি ভিনরাজ্যেও শীতের দাপট দেখা যাচ্ছে। রাজধানী দিল্লিতে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং উত্তরপ্রদেশে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে।
এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, মধ্য বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে। দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে উত্তর তামিলনাড়ু ও সংলগ্ন এলাকায়। তবে শীতের পথে কি কাঁটা হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ? আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আপাতত মনে করছে, ঘূর্ণাবর্ত বাংলায় তেমন কোনও প্রভাব নাও ফেলতে পারে।